এন জি চক্রবর্তী
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) ২২তম অংশ
দ্বিতীয় ভাগ।
আঠারো অধ্যায়।
ট্যাক্স এ্যাকাউন্টিং।
মেমোরেন্ডাম বুক, জার্ণাল ও লেজারে যথোপযুক্ত এন্ট্রি দিতে হবে।
প্রযোজ্য সম্পত্তির ক্ষেত্রে ও হারে হিসাব করে দেখুন আপনার সেলস ট্যাক্সের পরিমান কত। সে অনুযায়ী আপনার কর অঞ্চল উল্লেখ করে আপনি আপনার ট্যাক্স জমা দিন ও ট্যাক্স হিসাবকে ডেবিট করুন। নিজের জন্যই হোক আর অপরের জন্যই হোক, কেনাবেচা যা করবেন তার বিস্তারিত বিবরণ লিখে রাখুন যেমনটি রিয়ালটো’তে করে। আপনার প্রত্যেক পার্টির নাম, কর জেলাসহ (অঞ্চল) লিখে রাখুন। আপনি যখন আপনার নিজের টাকা ব্যাংকে জমা দিতে যাবেন তখন যাতে সহজেই আপনার কর অঞ্চল উল্লেখ করে করের টাকাও একই সাথে জমা দিতে পারেন। পূর্ব নির্ধারিত করহার যেমন ২% বা ৩% বা ৪% হিসাবে সমস্ত করযোগ্য পণ্যের হিসাব কর কর্তৃপক্ষের জন্য আলাদা আলাদা রাখুন। যাতে কোন ক্রেতা যখন বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্য কিনবে, তা সে নগদে বা বাকীতে যাইই হোক, প্রত্যেকে যাতে তাদের স্ব স্ব পরিমান করের হিসাব করতে পারে। কর কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যথা হলো করের পরিমান নিয়ে, লেনদেনের পদ্ধতি নিয়ে নয়।
বাজারে যার দোকান আছে এমন ব্যবসায়ী তাঁর প্রতিদিনের কেনা বেচার পরিমান, ক্রেতা বিক্রেতার নাম পরিষ্কারভাবে লিখে রাখবে, যাতে পরে কোন প্রশ্ন উঠলেও জবাব দিতে পারে।
কথায় বলে ’কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলেনা’।
বাজারে যখন কোন প্রশ্ন উঠে তখন ব্যবসায়ী সোজা তাঁর খাতাপত্র এগিয়ে দিতে পারে। আর ওই রেকর্ডগুলিকে আইনের ভাষায় বলে প্রাথমিক দলিল বা প্রাইম রেকর্ডস। ৭নং অধ্যায়ে যেভাবে বলেছি সেভাবে সরকারী কর্মকর্তা যখন কোন ব্যবসায়ীর হিসাবের খাতাপত্র প্রত্যয়ণ করে তখন ওগুলো হয়ে যায় গণ সম্পত্তি বা পাবলিক ডকুমেন্টস, আর তাই তা আদালতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রমান হিসাবে গ্রহনযোগ্য।
যখন কোন জিনিস কিনবেন তখন নিশ্চিত হোন যে আপনার করদায় কত হচ্ছে। যেখানে করহার ধরুন ৪% তার অর্দ্ধেকটা বিক্রেতার জন্য রেখে বাকী ২% আপনার ভাগে নিয়ে দিন।
আপনি এখন যাবতীয় প্রদেয় কর দেওয়ার জন্য তৈরী এবং আপনার খাতায় যদি করের চলতি হিসাব থেকে থাকে তবে তাতে করের পরিমান ক্রেডিট করুন আর করের টাকা কেনা মালের দামের অংশ হিসাবে ডেবিট করুন। মনে রাখবেন ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের কর পরিশোধের জন্য আপনি দায়ী।
একবার কর প্রদান আর প্রত্যয়িত খাতায় তা লিখা হয়ে গেলে ক্রেতা তার সুবিধামত দিনে আর কিস্তিতে ডেলিভারী নেওয়ার অধিকার রাখে। নির্ধারিত হারে কর দিলে তবে মাল রপ্তানী হতে পারবে আর তাই করের সঠিক হিসাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেনা মালের উপর তার কর দেওয়া হয়ে না থাকে তবে অতিরিক্ত মাসুল দিতে হবে। আমি এবার কর বিষয়ক হিসাব কিভাবে রাথতে হবে তা দেখাচ্ছি: (চলবে)
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
ফ্রা লুকা ডি প্যাসিওলি’র ‘পার্টিকুলারিস ডি কম্পিউটিস এট স্ক্রিপচার্স’ (এ্যাকাউন্টিং বুকস্ এ্যান্ড রেকর্ডস) এর অধ্যাপক জেরেমি ক্রিপসকৃত ইংরেজি অনুবাদ থেকে বঙ্গানুবাদ https://corporatesangbad.com/87616/ |