বিনিয়োগের আগে জেনে নিন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ সম্পর্কে

Posted on March 25, 2024

রফিকুল ইসলাম (রাব্বি) : বিনিয়োগের আগে সংশ্রিষ্ট কোম্পানির সার্বিক অবস্থা জেনে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে হবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ও আনুপাতিক হার (পিই রেশিও)। একটি কোম্পানির পিই রেশিও যত কম হবে বিনিয়োগের জন্য কোম্পানিটি তত উত্তম। সাধারণত ৪০ পর্যন্ত পিই রেশিও স্বাভাবিক ধরা হয়। এর উপরে গেলে অবশ্যই সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। পিই রেশিও থেকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিট সম্পদমূল্য (এনএভি), এটা যত বেশি বিনিয়োগের জন্য ততই উত্তম।

জানা যায়, মার্চ ২০২৩ এ প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৪৪ পয়সা, জুন ২০২৩ এ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ১৪ পয়সা এবং কোম্পানির প্রথম ৬ মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৯ পয়সা। সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ৭ টাকা ৫২ পয়সা এবং প্রথম ৯ মাসে ইপিএস ছিল ২৫ টাকা ১১ পয়সা। ২০২২ ইপিএস ছিল ৩৩ টাকা ১০ পয়সা, ২০২১ সালে ২৭ টাকা ৭২ পয়সা, ২০২০ সালে ৬০ টাকা ৪৮ পয়সা, ২০১৯ সালে ৫১ টাকা ৩৭ পয়সা ও ২০১৮ সালে ইপিএস ছিল ১৬৬ টাকা ৮৭ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০২২ সালে ৭৬ টাকা ২৭ পয়সা, ২০২১ সালে ৬৮ টাকা ১৩ পয়সা, ২০২০ সালে ১৮৮ টাকা ৮৯ পয়সা, ২০১৯ সালে ১৯৮ টাকা ৮৫ পয়সা ও ২০১৮ সালে ছিল ৪৯২ টাকা ১৫ পয়সা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২২ সালে ২০০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ২৭৫ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ৬০০ শতাংশ নগদ, ২০১৯ সালে ৪০০ শতাংশ নগদ ও ২০১৮ সালে ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে কোন লভ্যাংশ দেয়নি। ৩১-১২-২০২২ সমাপ্ত বছরের সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক কোম্পানির রির্জাভে রয়েছে ৩৫৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা|

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোম্পানিটি ৫৪০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৯৭৭ এ তালিকভূক্ত হয়। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫৪০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি টাকা।

ডিএসই‘র তথ্য অনুযায়ী, ২৯-২-২০২৪ ইং তারিখে উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে রয়েছে ৭২.৯১ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৩.৪ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে রয়েছে ৬.৫ শতাংশ শেয়ার, সরকারে হাতে রয়েছে ০.৬৪ শতাংশ শেয়ার এবং বাকি ৭.৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

গত এক বছরে কোম্পানিটির দর উঠানামা হয়েছে ৪১০.২০ টাকা থেকে ৫১৮.৭০ টাকা। গতকাল সমাপনী দর ছিল ৪১৭.১০ টাকা, আজাকের ওপেনিং ছিল ৪১৭.০০ টাকা, আজকের দর উঠানামা হয়েছে ৪১০.২০ টাকা থেকে ৪১৮.৯০ টাকা এবং শেষ সমাপনী ছিল ৪১৩.৪০ টাকার মধ্যে। ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারের তালিকাভূক্ত কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ বর্তমানে এ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এই কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছে গোলাম মাইনুদ্দিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনীম।