সারা দেশে ২২৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

Posted on November 6, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৮ প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র‍্যাবের ১৬০টি টহল দলসহ সারাদেশে ৪৬০টি টহল দল মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে পুলিশের সদস্যরা।

এর আগে গতকাল রোববার ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও স্ট্যান্ডবাই থাকে আরও ১০ প্লাটুন। ঢাকার পাশাপাশি তাদের সাভার ও গাজীপুর এলাকায় টহল দিতে দেখা যায়।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এবং মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরাও এই অবরোধ পালন করছে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে এই ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।

এর আগে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিন (৩১ অক্টোবর-২ নভেম্বর) টানা অবরোধ পালন করে বিএনপি-জামায়াত। সে সময় বিজিবি ও বিজিবির বিশেষায়িত বিজিবি-র‍্যাপিড অ্যাকশন টিমের (র‍্যাট) সদস্যদের টহল দিতে দেখা গিয়েছিল। তার আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি-জামায়াত।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ। সেদিন দুপুরের দিকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়। এর ফলে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়, পুলিশের বহু সদস্যকে পিটিয়ে আহত করা হয় এবং পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। হরতালের দিন সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন।

হরতালের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি-জামায়াত। ওই কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।