‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিই ব্যতিক্রম হয়ে ওঠার মূল শক্তি’

Posted on June 29, 2019

পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল (বিএসসিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মশিউর রহমান এর সাক্ষাতকারটি দৈনিক শেয়ার বিজ পত্রিকার সৌজন্যে হুবহু তুলে ধরা হল।

সাবমেরিন কেব্লের এগিয়ে চলার মূলমন্ত্র কী?

মশিউর রহমান: বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি। শুরু থেকে অভিজ্ঞ পরিচালনা পরিষদের দিকনির্দেশনা মেনে পরিচালিত হচ্ছে আমাদের প্রতিষ্ঠান। সে সঙ্গে দক্ষ জনবলের মাধ্যমে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে পিছিয়ে পড়তে হয়নি, বরং এগিয়েছে। আমরা এখন অন্য প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় কম খরচে ব্যান্ডউইড্থ সরবরাহে সক্ষম। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএসসিসিএলের কর্মকাণ্ডের সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকায় কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই আমরা শুরু থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিনিয়োগকারীদের আস্থাও আমাদের স্বচ্ছতা-জবাবদিহি ধরে রাখার পথে চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। আর সময়ের সঙ্গে কোম্পানিটির স্বচ্ছতা-জবাবদিহি আরও বেড়েছে। এটি একমাত্র কোম্পানি হিসেবে সাবমেরিন কেব্লসের মাধ্যমে ব্যান্ডউইড্থ আনছে। সে কারণেও ব্যবসায়িকভাবে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে উঠেছে। সহজভাবে বললে এগুলোই বিএসসিসিএলের চালিকাশক্তি।

বিএসসিসিএলের আগামী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী:

মশিউর রহমান: বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। শুরুতে ব্যান্ডউইড্থ-এর ব্যবহার সেলফোন কোম্পানি, বহজাতিক ও দেশীয় ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন ব্যবহারের ক্ষেত্র বেড়েছে, আগামীতে আরও বাড়বে। বর্তমানে দেশের ব্যান্ডউইড্থ-এর চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ব্যান্ডউইড্থ রয়েছে। তারপরও সামনের দিনগুলোর কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা দুটি সাবমেরিন কেব্ল পেয়েছি, যে কারণে এখন আর আপদকালে বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে আমদানি করা ব্যান্ডউইড্থ-এর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না। তারপরও সামনের দিনগুলোর চাহিদা মাথায় রেখে আমরা তৃতীয় সাবমেরিন কেব্ল স্থাপনের বিষয়ে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছি, যা আমাদের সক্ষমতা বাড়াবে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে ব্যান্ডউইড্থ রফতানি এখন কোন পর্যায়ে:

মশিউর রহমান: আমরা ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশে ব্যান্ডউইড্থ রফতানি শুরু করেছি। এরই মধ্যে ভারতের আরও কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। ভারত ছাড়া প্র্রতিবেশী আর কয়েকটি দেশের সঙ্গে ব্যান্ডউইড্থ রফতানির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ভুটান-মিয়ানমারসহ কয়েকটি দেশ ব্যান্ডউইড্থ আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। আশা করছি, আগামীতে বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইড্থ রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। বাংলাদেশের ব্যান্ডউইড্থ-এর বড় বাজার গড়ে উঠবে। আর ব্যান্ডউইড্থ রফতানি বাড়লে বিএসসিসিএলের আয়ের সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যবসায়িক সম্পর্কেরও উন্নতি হবে।

আরও পড়ুন: প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সিএফও’র ভূমিকা অপরিসীম: বাদল চন্দ্র রাজবংশী