নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ও বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিলই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তারা।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে, দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন আসনটির নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। পরে ইসি তার প্রার্থিতা বাতিল করে। তবে হাইকোর্টে রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পান সাদিক। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পর জাহিদ ফারুক চেম্বার আদালতে আবেদন করলে ফের প্রার্থিতা আটকে যায় সাদিক আব্দুল্লাহর। তবে ভোটে ফিরতে সাদিকও চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। যেটি শুনানি শেষে আজ রায় দিলেন আদালত। তবে এবারও প্রার্থিতা পাননি তিনি।
গত ২০ ডিসেম্বর সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনের বিষয়টি সাদিক আবদুল্লাহর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে।
তার আগে ১৯ ডিসেম্বর সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
ওইদিন আদালতে সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। অপরপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
এছাড়া দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন প্রথমে বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশন ও হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেও লাভ হয়নি তার। এরপর চেম্বার আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পাননি তিনি। ভোটের মাঠে থাকতে সবশেষ লিভ টু আপিল করেছেন শাম্মী। যেটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
শামীম হকের বিরুদ্ধেও রয়েছে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ। ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল ইসি। এর জেরে রিট করেন শামীম। যদিও সেটি খারিজ করে দেন আদালত। এরপর চেম্বার আদালতের নির্দেশে আবার ভোটের মাঠে ফেরেন আওয়ামী লীগের এই শামীম। পরবর্তীতে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন এ কে আজাদ।
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে শাম্মীর আবেদন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়ার আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
ওইদিন আদালতে শাম্মীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
তার আগে ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের রিট খারিজ করে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হয় বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের। আপিল আবেদন শুনানি করে এমন রায় দেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন (ইসি)। পরে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেন শাম্মী আহমেদ।
এর আগে শাম্মী আহমেদ এবং একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন ইসিতে। শুনানি শেষে শাম্মীর প্রার্থিতা বাতিল হলেও বহাল থাকে পঙ্কজ দেবনাথের। শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে সাদিক আব্দুল্লাহর ও শাম্মীর https://corporatesangbad.com/57845/ |