মোঃ বাদল হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। উজার হচ্ছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানের বনজসম্পদ। বনজসম্পদ রক্ষার বিপরীতে অর্থঅপচয় প্রকল্পের মাধ্যমে চলছে লুটপাট। স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্যাম্প অফিসার সিরাজুল ইসলাম মিয়া বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছেন।
গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকবার স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়লেও দেখার যেনো কেউ নেই। একারণে প্রায় দু’বছর যাবত গাছ কেটে পাচার করা ছাড়াও গাছ রোপন প্রকল্পের বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাৎ করেও এখনো নির্ভিঘ্নে চলছে তার অপকর্ম।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানের পাঞ্জুপাড়া, হুচেনপাড়া, বাবুর বাজার, ধোলাই মার্কেট, জেলেপাড়া এলাকায় ঝাউ গাছের চারা রোপনের নামে বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সিরাজুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া জেলেপাড়া এলাকায় রোপনকৃত ঝাউ গাছের চারার মধ্যে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করা এই অপকর্মের নাটেরগুরু সিরাজুল ইসলাম মিয়া।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের দাবী অনুযায়ি- ‘কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানের গাছ কেটে লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। কুয়াকাটা পৌর এলাকার হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং বাসাবাড়ি এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ির কাছে এই লাকড়ি বিক্রি করা হয়।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ‘বনবিভাগের গাছ কেটে ভ্যান, ঠেলাগাড়িতে ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব গাছ নৌকা তৈরি এবং মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও ব্যবহার করা হচ্ছে তরমুজ সহ বিভিন্ন কৃষি ক্ষেতের বেড়া দেওয়ার কাজে।’
এবিষয়ে ক্যাম্প অফিসার সিরাজুল ইসলাম মিয়ার যোগাযোগ করা হলে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
কুয়াকাটা রেইঞ্জ অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন- ‘ও বোকা। ভুল করছে কিন্তু ভুল সংশোধনের তো উপায় আছে। আপনি অফিসে আসেন; এক সাথে চা খাবো।’
পটুয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক মোঃ তারিকুল ইসলাম সরেজমিনে গিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা বলেন।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
উজার হচ্ছে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানের বনজসম্পদ https://corporatesangbad.com/494831/ |