মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

Posted on July 25, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নাশকতাকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে যান তিনি। এরপর কিছু সময় সেখানে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালালো তাদের রুখে দিতে সাধারণ মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। যারা মেট্রোরেল নষ্ট করে মানুষের চলাচলের পথ রুদ্ধ করলো, তাদের বিচার জনগণকেই করতে হবে।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্র পৌঁছাতে পারে সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশ যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টা করা হবে। এ দেশ মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে সেটা ব্যর্থ হতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা। ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রোরেল স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।

দেশবাসীর কষ্ট লাঘবে সরকার যে উন্নয়ন করছে সেগুলো ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় স্টেশনের সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা, এলইডি মনিটর, টিকিট কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। লুট করা হয় মূল্যবান অনেক জিনিস। পরে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয়ে কমিটি গঠন করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন চালু হতে কমপক্ষে এক বছর লাগতে পারে বলে জানায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দীকি বলেন, স্টেশনে ঢুকে দুর্বৃত্তরা সব কিছুতেই আঘাত করেছে। প্রয়োজনীয় সব কিছু নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু তারা নিয়ে চলে গেছে। এ ছাড়া যে জিনসগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, তার অধিকাংশই মেরামতযোগ্য নয়।

এম এ এন ছিদ্দীকি বলেন, দুর্বৃত্তরা মেট্রোরেল স্টেশনটাকে এমনভাবে তছনছ করেছে তাতে মনে হয় যে, তাদের ভেতর সামান্যতম দেশাত্মবোধ নেই। এমন একটা সম্পদ ধ্বংস করার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে।

কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণের জন্য একটি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, স্টেশনগুলো যেভাবে ভেঙে চুরমার করে দেয়া হয়েছে, তা ঠিক করতে ন্যূনতম এক বছর বা তার বেশিও লাগতে পারে। কারণ এগুলো অর্ডার দিয়ে প্রোডাকশন করতে হয়।