বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ

Posted on September 4, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাসপূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ‘শহীদি মার্চ’ পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এছাড়া শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর করবেন সমন্বয়করা।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। এ সময় সেখানে হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুদারসহ অন্য সমন্বয়করাও উপস্থিত ছিলেন। মূলত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ও রূপরেখা জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের স্মরণে কাল (বৃহস্পতিবার) সারা দেশে শহীদি মার্চ পালন করা হবে। 'আগামীকাল বিকেল ৩টায় ঢাকায় শহীদি মার্চ শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে। এরপর নীলক্ষেত, নিউ মার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড ধরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে।'

সারজিস আলম আরো বলেন, রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। এখনো আমাদের ভাইয়েরা ক্ষতচিহ্ন নিয়ে কাতরাচ্ছে। গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ, কীভাবে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছে তার ডকুমেন্টেশন করতে হবে। অনেকে আমাদের বিজয় মিছিল করতে বলছে। কিন্তু যতদিন না নতুন বাংলাদেশ হচ্ছে, মানুষ অধিকার পাচ্ছে ততদিন বিজয় মিছিল করা সম্ভব নয়।

আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে ছাত্র আন্দোলন। তবে আইন নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, যারা হত্যার সাথে জড়িত তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের চিহ্নিত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একটি টিম গঠন করা হচ্ছে। জনগণ যেভাবে চায়, সেভাবে গঠন হবে আগামীর বাংলাদেশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশব্যাপী পুনর্গঠিত হবে। তাদের উদ্দেশ্য হবে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ।

সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিগত ১৬ বছরে দলের সংবিধানকে দেশের সংবিধান হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ একটি ধর্মে পরিণত হয়েছিল। সবকিছুকে আওয়ামীকরণ করা হয়েছিল। এখন এর থেকে বের হওয়ার জন্য সবাইকে এক হতে হবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে বিভাজনের সুর দেখা যাচ্ছে। আর কখনো ফ্যাসিজম যেন ফিরতে না পারে সেজন্য সবাইকে এক হতে হবে। যারা ক্ষমতায় আসার আগেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে তারা ক্ষমতায় আসলে কি করতে পারে তা চিন্তার বিষয়। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই। ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে পারে এমন গণমাধ্যম আমরা চাই।