চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বারকোড গ্রুপের নাম শোনেননি চট্টগ্রামে এমন লোকের সংখ্যা কম। চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে এই প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি ঢাকাসহ বিদেশেও ছড়িয়ে যাচ্ছে। ব্যাপক জনপ্রিয় বারকোড গ্রুপের রেস্টুরেন্ট। তবে এই প্রতিষ্ঠানের ‘বারগুইচ টাউন ফিউশন ক্যাফে’ নামক রেস্টুরেন্টের স্থান পরিবর্তনে নানা অনিয়ম উঠে আসে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব শাখায়।
ট্রেড লাইসেন্সে স্থান পাল্টাতে গিয়ে ২০০ কোটি টাকা মূল্যের পাহাড়ী ঢিলা দখল-বেদখলের অভিযোগ ওঠে তিনটি গ্রুপের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে চলছে ক্ষমতার দাপট। রাতারাতি বেভারলি রেস্টুরেন্ট বারকোডের বারগুইচের পেটে। একই জায়গায় দুটি ভিন্ন নামে ট্রেড লাইসেন্সও ধরা পড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ জানিয়েছেন চসিকের রাজস্ব শাখায়।
দ্বন্ধটা নিজেদের লোকের মধ্যে নয়। আরও স্পষ্ট করে খতিয়ে দেখলে নাম ওঠে আসে মেসার্স ইম্পেরিয়াল ক্যামিকেল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড (আইসিআই) যার বর্তমান নাম এসিআই ট্রেডিং লিমিটেড, যার পক্ষে আমমোক্তারনামা ক্ষমতামূলে নুরুল আজিম, যিনি বেভারলি আইল্যান্ডের মালিক।
যদিও এ দ্বন্ধে জড়িয়েছে স্ট্যান্ডার্ড রোজ ভিলা হাউজিং লিমিটেড, নতুন চুক্তিতে চসিক ১৫ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন ও মসিউর রহমান দিদার। যাদের কাছ থেকে ৭ বৎসরের চুক্তি করেন বারকোডের কর্ণধার মনজুরুল হক। মূলত প্রকাশ্যে দিবালোকে বেভারলি আইল্যান্ড রেস্টুরেন্টটি পরিণত হয় বারকোডের ‘বারগুইচ টাউন ফিউশন ক্যাফে’তে। খবরটি এখন চট্টগ্রামের টক অব দ্যা সিটি।
সম্প্রতি, বারকোড গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স এ স্থান পরিবর্তন ও চসিকে তিনটি গ্রুপ একাধিক কাগজপত্র জমা দিলে তাতে উঠে আসে নানা অনিয়ম আর প্রভাবশালী কতৃক (আনুমানিক) দুইশত কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর নুরুল আজিমকে এই সম্পত্তির লেটার অব অথরিটি দেন মেসার্স এসিআই ট্রেড লিমিটেড। যার রেজিস্ট্রি নম্বর-০৪। এই জমির বিএস সংশোধনের জন্য ২০০৮ সালে একটি মিছ মামলা দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে। যার মিছ মামলা নম্বর-৮৫/০৮। বিএস নম্বর-১৯। ওই খতিয়ানে তিন দাগ ছিল ৩৯৮২, ৩৯৮৩ ও ৩৯৮৪। যার মধ্যে প্রথম দুটি দাগের শ্রেণিতে বাড়ি এবং শেষ দাগের জমিটি ছিল পাহাড়ি ঢিলা। মোট জমির পরিমাণ ছিলো তাতে তিন দশমিক দুই পাঁচ দুই পাঁচ একর। একই বছরে যার খাজনা পরিশোধ করেন এসিআই ট্রেড লিমিটেড। যারা এই জমির পুর্ব মালিক।
২০১৪ সালের ৩ জুন আদালতের রায় ডিগ্রি মূলে এই জমির এক দশমিক ছয় তিন একর সম্পত্তির মালিক হন তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। যার রেজিস্ট্রার দলিল নম্বর-৮২১০। মেসার্স জি কে ব্রাদারস নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক গোলাম কবির মিয়া তাঁকে রেজিষ্ট্রি চুক্তিনামা সম্পাদন করেন। এরমধ্যে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর বেভারলি আইল্যান্ড রেস্টুরেন্ট এর বর্তমান মালিক নুরুল আজিমকে আমমোক্তারনামা প্রদান করেন তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। যার রেজিস্ট্রার পাওয়ার দলিল নম্বর-১৪৭৩৭। সে হিসেবে মালিক নুরুল আজিম।
আবার ট্রেড লাইসেন্সের তথ্য বলছে, নগরীর দামপাড়া এম এম আলী রোডের বেভারলি আইল্যান্ডের মালিক মো. তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ও রনি দেব নাথ রাজীব। এদের নামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেন ২০১৮ সালের ২২ জুলাই। যার ট্রেড লাইসেন্স নম্বর-৮০৭২৫। চসিকের ১৫ নম্বরে বেভারলি আইল্যান্ড রেস্টুরেন্টের অবস্থান দেখানো হয়।
সূত্র বলছে, ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ বেভারলি আইল্যান্ডের পরবর্তী মালিক দাবিদার নুরুল আজিম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর কাছে আবেদন করেন রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন নালার উপরে নিজ খরচে ষ্টীল ব্রীজ নির্মাণের। একই বছরের বেভারলি আইল্যান্ডের মালিক নুরুল আজিমের নামে বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপন করা হয়। যে মিটারের বিল নম্বর-২৮৭৪৭। নিয়মিত ওয়াসার বিলও পরিশোধ করেন আজিম। যার একাউন্ট নম্বর-০২০০৬২এসডি। মিটার নম্বর-১১৬৩৬৫৮৮। ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল থেকে যিনি ওয়াসার কার্যাদেশপত্র পান।
এই বেভারলি আইল্যান্ড রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধনকালে সে সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। ওইদিন নুরুল আজিমের পাশে বসা ছিলেন কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন। সে ছবিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ষ্টীল ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এস্টেট শাখার অফিসার (স্মারক নম্বর-৫২৮) শর্ত সাপেক্ষে নালার উপরে ব্রীজ নির্মাণের অনুমতি দেন নুরুল আজিমকে। একই প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ হতে লাইসেন্সপত্র সংগ্রহ করেন। যার লাইসেন্স নম্বর-৪৯৯/২২৮২।
এমনকি বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতি থেকেও ব্যবসা পরিচালনার জন্য ছাড়পত্র নেন মো. তোফাজ্জল হোসেন ও রনি দেব নাথ রাজীব। যার ছাড়পত্র ক্রমিক নম্বর-০২১। যা ধারাবাহিক ভাবে ব্যবহার করে আসছেন নুরুল আজিম। একই জায়গার দখলদার হিসেবে নুরুল আজিম ইমপেরিয়াল কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (আইসিআই) বাংলাদেশ এর পক্ষে চসিকে হোল্ডিং কর পরিশোধ করেন। যার রশিদ নম্বর-২৫৪।
আরও জানা যায়, ২০২০ সালের ১৩ জুলাই পরিবেশ অধিদফতরের তৎকালিন পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী বেভারলি রেস্টুরেন্টের মালিক নুরুল আজিমকে পরিবেশ আইন অমান্য করায় ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। পরে আপীল মামলা করে মাসিক ১৫ হাজার টাকায় ১৩ কিস্তিতে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেন রেস্টুরেন্টের মালিক নুরুল আজিম। এছাড়াও ওয়াসার পানির বিলও পরিশোধ করেন তিনি। যার একাউন্ট নম্বর-০২১৬৭১। রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কতৃক প্রত্যয়নের চালান। যে মূলে নিয়মিত কর পরিশোধ করেন একই ব্যক্তি।
অনুসন্ধানে তথ্য মিলে, ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর বেভারলি রেস্টুরেন্টের মালিক হিসেবে নুরুল আজিমকে ইমারত বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (সিডিএ) এর তৎকালিন অথরাইজড অফিসার ও ইমারত নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ হাসান। যার লিখিত জবাব দেন রেস্টুরেন্ট মালিক। এর মধ্যে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল খুলশী ভূমি অফিসের ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জয়নাল উদ্দিন আবেদীন দখল স্বত্ব বিষয়ে কাট্টলি সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাছে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।
তাতে তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন-বিএস ১৯ নম্বর খতিয়ানের তিন দাগে ঢিলা পাহাড় তথা ম্যানিলা পাহাড়ের উত্তর-পশ্চিম পাশে ছৈয়দ জিয়াদ রহমান এবং পূর্ব দক্ষিণে নুরুল আজিম প্রকাশ পান আজিমকে অবস্থানে পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন।
এই নুরুল আজিমেই আমমোক্তারনামা মূলে জমির মালিক হিসেবে স্বাধীন ট্রাভেলস লিমিটেড, মার্শা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, জহিরুল ইসলাম ও মো. সিরাজুল ইসলাম সুজন নামে জনৈক ব্যক্তিদের গোডাউন, ফ্লোরা ফুলের দোকান ও অফিস গৃহ অস্থায়ী ভাড়া দেন। এসব চুক্তিপত্রেও মালিক হিসেবে নুরুল আজিমের নাম পাওয়া যায়।
এরমধ্যে হঠাৎ একই তফসিলের বিএস ১৯ খতিয়ানের ৩৯৮৪ দাগে স্থিত দ্বিতল বিশিষ্ট দোকানের কথা উল্লেখ করে একটি চুক্তি পত্রের অস্বিস্থ মিলে। ২০২২ সালের ১লা জুলাই থেকে আগামী ২০৩০ সালের ৩০ শে জুন পর্যন্ত ৮ বৎসরের জন্য ওই চুক্তিনামা সম্পাদন করা হয়। যেখানে মাসিক ভাড়া ধার্য্য করা হয় ৭৫ হাজার টাকা।
তিনশত টাকার নন রেজিস্ট্রার স্ট্যাম্পের (খঞ-৫৭৪৮৬০১-৩) এই চুক্তিতে মালিকপক্ষ হিসেবে নাম রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড রোজ ভিলা হাউজিং লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি স্বাক্ষর করেন। অন্যদিকে, দ্বিতীয়পক্ষ হিসেবে নাম রয়েছে চসিক ১৫ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন ও মসিউর রহমান দিদার। পরে মো. গিয়াস উদ্দিন আবার ৭ বৎসরের চুক্তি করেন বারকোডের কর্ণধার মনজুরুল হকের সাথে। এতে দ্বিতল বিশিষ্ট বেভারলি আইল্যান্ড রাতারাতি হয়ে যায় ‘বারগুইচ টাউন ফিউশন ক্যাফে’। যেটির অবস্থান ছিল পূর্বে মেহেদীবাগ এলাকায় সেনা কল্যাণের জায়গায়।
যে প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সে নাম রয়েছে মনজুরুল হকের। ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর ট্রেড লাইসেন্সটি ইস্যু করা হয়। যার সিরিয়াল নম্বর-১১৩৫৫৯৯। ফর্ম নম্বর-৫০৫৭৬। এর মধ্যে ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বারগুইচ টাউন ফিউশন ক্যাফের ট্রেড লাইসেন্স এর ঠিকানা পরিবর্তনে চসিক রাজস্ব বিভাগে আবেদন করেন। যার আবেদন রশিদ নম্বর-১৭৪১৫৪। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১লা ডিসেম্বর চসিকের সংশ্লিষ্ট শাখা স্থান পরিবর্তনের অনুমতি প্রদান করেন। যে অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর করেন চসিকের লাইসেন্স ইন্সপেক্টর তপন কান্তি দে ও কর কর্মকর্তা রাজেশ চৌধুরী। কিন্তু ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয় দামপাড়ার এম এম আলী রোড। নিদির্ষ্ট করা হয়নি কত নম্বর ওয়ার্ডের কত নম্বর হোল্ডিং। আজিমের অভিযোগ, মূলত কৌশল অবলম্বন করে ঠিকানা পরিবর্তন করে বারকোড।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, জমির প্রকৃত মালিক না হয়েও নন রেজিষ্ট্রার ষ্ট্যামের চুক্তি দেখিয়ে বেভারলি আইল্যান্ডের জায়গা দখল চেষ্টা করছেন চসিক প্যানেল মেয়র ও ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ও মসিউর রহমার। এমনকি ভাড়াচুক্তিতে রাতারাতি বেভারলি রেস্টুরেন্টের জায়গায় বারকোড রেস্টুরেন্ট গ্রুপের কর্ণধার মঞ্জুরুল হক বারগুইচ টাউন ফিউশন ক্যাফে স্থান্তান্তরিত করে সহযোগিতা করেছেন।
এছাড়াও বেভারলি রেস্টুরেন্টের আসবাবপত্র দখল ও মালিকের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে ভুয়া নথি ও কাগজ সৃজন করে নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রেড লাইসেন্স তৈরির অভিযোগ উঠেছে মঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধেও। যা তদন্ত করছেন চসিক রাজস্ব শাখা।
বেভারলি রেস্টুরেন্টের মালিক নুরুল আজিমের দাবি, তিনি ওই জায়গার মালিক। তাই বেভারলি রেস্টুরেন্টে যাতায়াতের জন্য কর্পোরেশনের অনুমতি ও নির্ধারিত ফি (১ লাখ ৭২ হাজার টাকা) জমা দিয়ে নালার উপর ব্রিজ নির্মাণ করেছেন।
এসব ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল আজিম বলেন,‘বারকোড এক সময় আমার বেভারলি রেস্টুরেন্টে পাশে রেস্টুরেন্ট চালুর কথা জানিয়ে আমার কাছে জায়গা চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি দিইনি। এখন ভূয়া কাগজ তৈরি করে ভূমিস্যুদের সাথে হাত মিলিয়েছে। আমি বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সত্য বের হয়ে আসবে। জায়গা জমি সত্ত্বের বিষয়। জোরে করে জমি দখল করলে মালিক হওয়া যায় না।’
অভিযোগের প্রেক্ষিতে চসিক প্যানেল মেয়র ও ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘নুরুল আজিম ওই জায়গার মালিক নয়, সে ছিলো মালিকের কেয়ারটেকার। নকল দলিল তৈরি করে সে অবৈধভাবে জায়গাটি দখল করেছিল। সে যদি জমির মালিক হয় তাহলে তাকে কাগজ দেখাতে বলুন। আমি ২৫ বছর ধরে এই এলাকার কাউন্সিলর, আমি সব জানি।’
বারকোড রেস্টুরেন্ট গ্রুপের কর্ণধার ও বারগুইচ টাউন ফিউশন ক্যাফের মালিক মঞ্জুরুল হক এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
এ প্রসঙ্গে চসিক রাজস্ব কর্মকর্তা (সিনিয়র উপ-সচিব) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, নুরুল আজিমের বেভারলি আইল্যান্ড রেস্টুরেন্টের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে বারগুইচ টাউন ফিউশন ক্যাফের মালিক মঞ্জুরুল হকের নামের ট্রেড লাইসেন্স করার অভিযোগ পেয়ে প্রথমবার শুনানি করা হয়েছে। দুইপক্ষের লোকজন যেসব কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। পরবর্তী শুনানি শেষে বাকি তথ্য জানা যাবে।’
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
হিসাবে ২০০ কোটি; বারগুইচ গিলে খেল বেভারলি, নেপথ্যে কে? https://corporatesangbad.com/9321/ |