মাছ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়

Posted on June 11, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : মাছে-ভাতে বাঙালির জন্য এল একটি সুখবর। মিঠাপানির মাছ আহরণে বিশ্বে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এর আগেরবার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীন এবার তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে। এই তালিকায় সবার ওপরে ভারত।

গতকাল শনিবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থার (এফএও) প্রকাশ করা বিশ্বের মৎস্যসম্পদবিষয়ক প্রতিবেদন ‘ওয়ার্ল্ড স্টেট অব ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার-২০২৪’–এ এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে ২০২২ সালের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতি দুই বছর পরপর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

মূলত নদ–নদী, বিল, হাওর, বাঁওড়সহ উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছ আহরণকে ওই হিসাবে নেওয়া হয়েছে। তবে পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ে চাষ মিলিয়ে মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ এবার তৃতীয় অবস্থান থেকে দুই ধাপ পিছিয়ে পঞ্চম অবস্থানে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় একটা সময়ে এ দেশের সাগর, নদী, খাল-বিলে প্রচুর পরিমাণে মাছ জন্মাত। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ঐতিহ্য যেন হারাতে বসেছিল। তবে এবার বাঙালির জন্য এল একটি সুখবর। হাজার বছরেরও পুরোনো বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য মাছে-ভাতে বাঙালির ঐতিহ্য আবার ফিরেছে এ দেশে ।

মিঠাপানির মাছ আহরণে বিশ্বে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীন এবার তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে। যদিও এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে ভারত।

শনিবার (৮ জুন) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থার (এফএও) প্রকাশ করা বিশ্বের মৎস্য সম্পদ বিষয়ক প্রতিবেদন ‘ওয়ার্ল্ড স্টেট অব ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার-২০২৪’-এ এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে ২০২২ সালের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতি দুই বছর পরপর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

মূলত নদ-নদী, বিল, হাওর, বাঁওড়সহ উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছ আহরণকে ওই হিসাবে নেওয়া হয়েছে। তবে পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ে চাষ মিলিয়ে মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ এবার তৃতীয় অবস্থান থেকে দুই ধাপ পিছিয়ে পঞ্চম অবস্থানে নেমে এসেছে।

এফএওর ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে ছিল। এর আগে ২০২০ থেকে এর আগের টানা পাঁচবার বাংলাদেশ ছিল পঞ্চম অবস্থানে।

ইলিশের প্রজনন এবং জাটকা রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ায় বিশ্বের উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। তবে দেশের হাওর ও বিলগুলোতে ছোট ও মাঝারি অন্য মাছের জাতগুলোর প্রজননের সময় সুরক্ষা দেওয়া উচিত।

বিএফআরআইয়ের হিসাবে, বাংলাদেশ গত বছর (২০২৩) মোট ৪৮ লাখ টন মাছ উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে চাষের মাছ ৩২ লাখ টন, উন্মুক্ত জলাশয় থেকে আহরণ করা ১৩ লাখ টন। বাকিটা সমুদ্র থেকে সংগ্রহ করা। উল্লেখ্য, উন্মুক্ত জলাশয় থেকে আহরণ করা মাছের অর্ধেকই ইলিশ। বাংলাদেশ ২০২৩ সালে মোট সাড়ে ছয় লাখ টন শুধু ইলিশ উৎপাদন করেছে।

এফএওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ স্বাদুপানির মাছ উৎপাদন করে ১৩ লাখ ২২ হাজার টন, যা বিশ্বের মোট মাছের ১১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর আগে সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবদান ছিল ১১ শতাংশ। ভারত এবার ১৮ লাখ ৯০ হাজার টন উৎপাদন করে ওই তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে। আর চীন ১১ লাখ ৬৬ হাজার টন উৎপাদন করে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। চীনের পরে রয়েছে মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও উগান্ডা।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিশ্বের স্বাদুপানি ও চাষের মাছে শীর্ষে থাকা দেশগুলোর বেশির ভাগ এশিয়া মহাদেশের। এখানকার স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে মাছের চাষ বেশি হয়। বিশেষ করে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ায় নদী ও জলাভূমি বেশি থাকায় সেখানে স্বাদুপানির মাছ সংগ্রহ ও চাষের জন্য উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে। এখানকার অধিবাসীদের জীবিকা ও পুষ্টির জোগান দিতে মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রতিবেদনে বিশ্বের মৎস্য সম্পদের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বের মাছের উৎপাদন সর্বকালের রেকর্ড ভেঙেছে। ওই বছর মোট ২২ কোটি ৩২ লাখ টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। এর আর্থিক মূল্য ৩১৩ বিলিয়ন ডলার।