সাব্বির মির্জা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই অখুশি। ক্রেতারা বলছে পশুর দাম অনেক বেশী অপরদিকে বিক্রেতারা বলছে পশু খাদ্যসহ সব কিছিুর দামই বেশী কিন্তু সে হিসাবে পশুর দাম অনেক কম। এ বছর ভারতীয় গরু না আসায় হাটগুলোতে প্রচুর দেশীয় প্রজাতির পশু উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাড়াশ উপজেলায় প্রতি বৃহস্পতিবার নওগাঁ হাট, মঙ্গলবার গুল্টা হাট, সপ্তাহে দুদিন সোমবার ও শুক্রবার তাড়াশ পৌর সদরের হাটে প্রচুর পরিমানে পশু উঠেছে। অপরদিকে উপজেলার বেশ কয়েকটি হাট বাজারে ঘুরে উপজেলার প্রানী সম্পদের লোকজনদের চোখে পরলেও কোন পশুকে পরীক্ষা করা চোখে পরেনি। এজন্য হাটে আগত পশু ক্রেতারা চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কারন অসুস্থ পশু ক্রয় করে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমনিতেই বাজারে ধানের দাম কম কিন্তু সব জিনিসের দামই বেশী। বাহিরের গরু ব্যবসায়ীরা পুরোদমে আসা শুরু করেছে।
তাড়াশ পৌরসভার ভাদাশ গ্রামের খামারি আছের জানান, হাটে ৭টি গরু এনেছি। ক্রেতার আনাগোনা ভালো হলেও দাম কম বলছে। যে দাম বলছে তাতে আমাদের চালান উঠবে না, লাভতো দুরে থাক। ঈদের আগ পর্যন্ত যদি দাম এরকমই থাকে, তাহলে লস অনিবার্য। আর বেশী হাটও অবশিষ্ট নাই, ভীষন দুশ্চিন্তায় আছি কোরবানির আগে পশুগুলো বিক্রি করা নিয়ে।
তাড়াশ পৌর সদরের আরও এক খামারি হরনাথ জানান, ঈদ উপলক্ষে প্রায় ৭ মাস ধরে ৪টা গরু লালন পালন করছি। বিক্রির সময় এসে ভয়ে আছি। ক্রেতারা যে ভাবে দাম বলছে তাতে লাভতো দুরে থাক চালানও উঠবে না। পশু ক্রয় করতে আসা আব্দুর রহিম, সাইদুর রহমার, চান্দুসহ একাধিক ক্রেতা জানান, বাসায় পশু পালনের যায়গা না থাকায় বিক্রেতার কাছেই পশু লালন পালনের দায়িত্ব দিয়ে দেই। আর এজন্যই আমরা তাড়াশের হাট থেকে পশু কিনে থাকি। বিক্রেতারা পশুর দাম অনেক বেশি চাচ্ছে। যেহেতু বেশী হাটও অবশিষ্ট নাই তাই এর মধ্যেই দেখে শুনে পশু কিনতে হবে।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
তাড়াশে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট https://corporatesangbad.com/89506/ |