বিনোদন ডেস্ক : ভারতের চণ্ডীগড় এয়ারপোর্টে এক সিআইএসএফ জওয়ানের হাতে চড় খান সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তারপর থেকেই বিতর্কের ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। একাংশ বলছে, উচিত শাস্তি। অন্যঅংশের মত, উর্দি পরে এহেন আচরণ করা যায় না। এরই মধ্যে এই ঘটনায় মুখ খুললেন মান্ডির সাংসদ। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ তিনি। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সঙ্গে হওয়া ঘটনার প্রতিবাদ করেন কঙ্গনা। তার মতে, চড় মারাকে সমর্থন করা মানেই প্রকারান্তরে ধর্ষণের মতো ঘটনাকেও সমর্থন জানানো।
এক্স হ্যান্ডেলে কঙ্গনা লেখেন, প্রত্যেক ধর্ষক, খুনি বা চোরের সবসময় অপরাধ করার জন্য কোনও দৃঢ় মানসিক, শারীরিক, মনস্তাত্ত্বিক বা আর্থিক কারণ থাকে। কোনও অপরাধ কখনওই কারণ ছাড়া ঘটে না, তবুও তারা দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যায়। আপনি যদি অপরাধীদের সঙ্গে থাকেন তবে দেশের সমস্ত আইন লঙ্ঘন করে অপরাধ করার জন্য শক্তিশালী মানসিক প্রবণতা এটা। মনে রাখবেন আপনি যদি কারও ব্যক্তিগত জায়গায় ঢোকেন, তাদের অনুমতি ছাড়াই শরীর স্পর্শ করে এবং তাদের উপর আক্রমণ করেন বা এগুলি সমর্থন করেন তবে আপনি ধর্ষণ বা হত্যার মতো ঘটনাকেও সমর্থন করেন। আপনার মনস্তাত্ত্বিক অপরাধপ্রবণতার জন্য, আমি অনুগ্রহ করে যোগব্যায়াম এবং ধ্যান গ্রহণ করার পরামর্শ দিচ্ছি, অন্যথায় জীবন তিক্ত এবং বোঝা হয়ে উঠবে। এত ক্ষোভ, ঘৃণা এবং হিংসা বহন করবেন না, দয়া করে নিজেকে মুক্ত করুন।
গত বৃহস্পতিবার সাংসদ হিসাবে প্রথমদিন দিল্লি যাচ্ছিলেন কঙ্গনা। সেই সময় চণ্ডীগড় এয়ারপোর্টে কুলবিন্দর কৌর নামে এক সিআইএসএফ জওয়ান কষিয়ে থাপ্পড় মারেন কঙ্গনাকে। জানা যায় কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনার এক অবান্তর বয়ানের কারণেই তাঁকে চড় মারেন ওই মহিলা সিআইএসএফ। কিন্তু কেন এই আক্রমণ? সিআইএসএফ কর্মী বলেন, কঙ্গনা বলেছিলেন যে '১০০ টাকার বিনিময়ে নাকি মহিলারা আন্দোলনে বসে আছে। সেই আন্দোলনে তখন আমার মা-ও ছিল।' সূত্র-জিনিউজ।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
চড় মারা সমর্থন করা মানেই ধর্ষণকে সমর্থনের শামিল: কঙ্গনা https://corporatesangbad.com/89146/ |