গুলশানে এক পুলিশের গুলিতে আরেক পুলিশ নিহত

Posted on June 9, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশান থানার গুলশান-বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে মনিরুল নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

নিহত মনিরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

শনিবার (৮ জুন) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। তবে পুলিশ সদস্যরা চান্সেরি বিভাগ থেকে দূতাবাসে ডিউটি করে থাকেন।

এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে উত্তর পাশের গার্ডরুমে কনস্টেবল কাউসার আহমেদের (কনস্টেবল নম্বর ৮১২৬) গুলিতে অপর কনস্টেবল মনিরুল (কনস্টেবল নম্বর ৩৬৯৮১) মারা গেছেন। এ ঘটনায় পথচারী জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার তিনটি গুলি লেগেছে।

তিনি আরো জানান, তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে কনস্টেবল কাউসার সহকর্মী কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেছে।

রাত সোয়া ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফিলিস্তিন দূতাবাসের অদূরে ফুটপাত পেরিয়ে সড়কের পাশে কনস্টেবল মনিরুলের গুলিবিদ্ধ দেহ ওপড় হয়ে পড়ে আছে। তখনও তার ব্যবহৃত রাইফেলটি তার পিঠের ওপর পড়েছিল। পুরো এলাকা পুলিশের সোয়াট টিম ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে যান।

গুলশান-বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের সামনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম রয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে সোয়াট টিম।

রোববার (৯ জুন) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলাম সরকার জানান, ‘কাউসার আহমেদ পাঁচ-ছয় দিন ধরে চুপচাপ ছিলেন। মানুষের সঙ্গে খুব একটা কথা বলতেন না। সহকর্মীদের সঙ্গেও তেমন কথা বলছিলেন না। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন কিনা, তা আমরা আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখব।’