মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী

Posted on June 8, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে তাঁর দল ক্ষমতায় আসার সময় মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ আর রিজার্ভ ছিল এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও কম।

শুক্রবার (৭ জুন) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমরা কীভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করব। আমাদের এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে একটি বড় অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। তখন বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৬৮ হাজার কোটি টাকা আর এবারে আওয়ামী লীগ সরকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছে।

তিনি বলেন, “আমাদের বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, গাজায় গণহত্যা এবং কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন অর্থনৈতিক মন্দা ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হয়েছে।

তিনি বলেন, এর হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচানো যায়নি। এহেন বৈশ্বিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ এই বাজেট দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতদ সত্ত্বেও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ লাভ সহজ করতে বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, বাজেট খুব বড় বাজেট নয়। কিন্তু দেশের উন্নয়নটা যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বাজেটটা প্রণয়ন করা হয়েছে। বাজেটে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, চিকিৎসা ক্ষেত্র, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে যাতে এসব ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির চাপটা না আসে।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সীমিত আয়ের মানুষদের জন্য পারিবারিক কার্ড দিয়েছে এবং হতদরিদ্র মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তাঁর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবলয় কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র ও অস্বচ্ছল মানুষদের জন্য বিভিন্ন ভাতা প্রদানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনই তাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ যার জন্য আওয়ামী লীগ বারবার দেশ-বিদেশের সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলা করে ক্ষমতায় এসেছে।

তিনি বলেন, “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বিরোধী দল জানত নির্বাচন হবে না, তাই তারা বর্জন করেছিল। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম নির্বাচনের পরেও ষড়যন্ত্র ছিল।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন শুরুর পর তাঁরা ঝুঁকি নিয়েছিলেন।

এবার আওয়ামী লীগ এককভাবে ২২৩টি আসন লাভ করে এবং ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে ২৩৩টি আসন পেয়েছিল আর বিএনপি জোট পেয়েছিল ৩০টি আসন।

তিনি বলেন, কেউ না এমনকি বিরোধী দলও এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন বর্জন করে কারণ তাদের দলকে পরিচালনা করার মতো কোনো নেতা নেই, যেহেতু তাদের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার অভিযোগ রয়েছে। সূত্র-বাসস।

আরও পড়ুন:

স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ৪ হাজার ফ্ল্যাট তৈরির সিদ্ধান্ত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সেকেন্ড কমিটির চেয়ার হলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত