বেনাপোলে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন

Posted on June 5, 2024

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: কাস্টম আইন ২০২৩ এর ৮২ ধারা সহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবিতে “ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের ডাকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালণ করেছে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (৫ জুন) বেলা ১২টায় বেনাপোল স্থলবন্দর সংলগ্ন “বেনাপোল কাস্টমস হাউজ” এর সম্মুখে নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচি পালণ করেন। এতে নেতৃত্ব দেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটি’র সভাপতি-মোঃ শামছুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক-ইমদাদুল হক লতা।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অন্যান্য যারা উপস্থিত ছিলেন- খায়রুজ্জামান মধু (সিনিয়র সহ সভাপতি), কামাল উদ্দিন শিমূল (সহ সভাপতি-২), মোঃ নাসির উদ্দিন (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ এবং বেনাপোল পৌর মেয়র), আবু তাহের ভারত (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২), মোঃ শাহাবুদ্দিন (সাংগঠনিক সম্পাদক), এনামুল হক মুকুল (অর্থ সম্পাদক), মোঃ শাহাবুদ্দিন (সহ অর্থ সম্পাদক), মোঃ আব্দুল লতিফ (কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক), আলমগীর সিদ্দিক (কাস্টম বিষয়ক যুগ্ম সম্পাদক), মেহের উল্লাহ (বন্দর বিষয়ক সম্পাদক), আসাদুজ্জামান (ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক), মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম (দপ্তর সম্পাদক), সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ (প্রচার প্রকাশনা ও প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক) এবং আমিনুল হক আনু (নির্বাহী সদস্য-২)।

এ ছাড়াও বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি-মোঃ মুজিবর রহমান সাধারণ সম্পাদক-সাজেদুর রহমান, সাংবাদিক-বকুল মাহবুব,সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী-আশরাফুল আলম উজ্জল,রানা আহম্মেদ সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ঐ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে জানা যায়- কাস্টম আইনের ৮২ ধারায় বলা আছে (পণ্য ঘোষণা বা বিল অব এন্ট্রিতে দেওয়া তথ্যের সত্যতা, সঠিকতা সম্পর্কে আমদানিকারক-রপ্তানিকারক দায়বদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে পণ্য খালাসে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টও দায়ী থাকবে। পণ্যের সঠিকতা যাচাইয়ে কাস্টমস কর্মকর্তা দলিলাদি চাইতে পারবেন)। এর বিপক্ষে মত দিয়ে দেশের এই বৃহৎ সংগঠনটির প্রতিবাদ কর্মসূচি পালণ।

প্রতিবাদ কর্মসূচি’র নেতৃত্বে থাকা বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি-শামছুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক- ইমদাদুল হক লতা যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন- “বাংলাদেশের অর্থনীতির অক্সিজেন বলে খ্যাত রাজস্ব আদায়ে সিএন্ডএফ এজেন্টগন শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের সকল ক্রান্তি সময়ে ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে রাজস্ব আদায়ে অবিরাম দায়িত্ব পালন করে জাতীয় অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। অথচ কাস্টম তার ৮২ ধারা বহাল রেখে সংগঠনের মৌলিক অধিকার পরিপন্থি বিভিন্ন কালাকানুন চালু রেখেছে।

এতে আমাদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এবিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করে সংশোধনের দাবি পত্র দেয়া হলেও অধ্যবধি সে বিষয়ে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

এ অবস্থায় দাবি আদায়ে আন্দোলনের বিকল্প নেই। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের সিএন্ডএফ এজেন্টগণ বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে শতভাগ মূসক (ভ্যাট) অগ্রীম প্রদান করলেও পুনরায় প্রতিমাসে ভ্যাট রিটার্ণ দাখিল অমূলক। সাধারণ সিএন্ডএফগণ এ থেকে অব্যাহতি চান”।