এসএসসিতে দুই বিষয়ে ফেল করলেও কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে

Posted on May 29, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : নতুন কারিকুলামে চূড়ান্ত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে সরকার। নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২০২৬ সাল থেকে। আর ২০২৭ সাল থেকে শুরু হবে একাদশ শ্রেণিতে। নতুন পদ্ধতিতে কোনো শিক্ষার্থী যদি এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়, সে চাইলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। তবে পরের দুই বছরের মধ্যে তাকে পাবলিক মূল্যায়নে অংশ নিয়ে বিষয়গুলোতে কৃতকার্য হতে হবে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিভিশন কোর কমিটিতে তা অনুমোদন হয়েছে। এখন তা এনসিটিবি বোর্ড সভা হয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত হবে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় নতুন এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে। ওই বছরের ডিসেম্বরে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে এসএসসি পরীক্ষার নাম না বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর আগে কারিকুলাম উন্নয়ন ও পর্যালোচনা সংক্রান্ত কোর কমিটিতে নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষার নতুন কোনো নাম দেওয়ার আলোচনা হয়। তবে শেষ দিকে এ পরীক্ষার নাম না বদলানোর সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) কারিকুলাম উন্নয়ন ও পর্যালোচনা সংক্রান্ত কোর কমিটিতে নতুন কারিকুলামের বেশ কিছু সংশোধনী প্রস্তাব পাস হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো দুই বিষয়ে ফেল করেও একাদশে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি। সেখানে এসএসসি পরীক্ষার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি এলে বেশিরভাগ সদস্য নাম পরিবর্তনের বিপক্ষে মত দেন। তাই শেষ পর্যন্ত এসএসসির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পাস হয়নি। কোর কমিটির প্রস্তাব এখন এনসিটিবি বোর্ড সভা হয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় চূড়ান্ত হবে। তারপর সবার জন্য প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এসএসসি পরীক্ষা নাম পরিবর্তনের বিষয়ে কোর কমিটিতে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রস্তাব পাস হয়নি। তাই এ পরীক্ষার নাম পরিবর্তন হচ্ছে না।

২০২৩ সাল থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।