ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন

Posted on May 28, 2024

আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে ধর্ষন মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ মিজানুর রহমান এই রায় প্রদান করেন। রায় প্রদানের সময় খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদ নরহরিদ্রা গ্রামের খোন্দকার আমিরুজ্জামানের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজ পাড়ায় বসবাস করেন।

আদালতের রায় সুত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের নিজ গ্রাম সদর উপজেলার নৃসিংহপুরে এক বিচারপ্রার্থী নারী চম্পা খাতুনকে মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ওই নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষন মামলা থেকে বাঁচতে ওই নারীকে বিয়ে করে আবার একই টেবিলে বসে তালাকও দেন ফরিদ। ধর্ষিতা চম্পা খাতুন ঝিনাইদহ শহর সংলগ্ন পাগলাকানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়া বটতলা পাড়ার ফারুক হোসেনের মেয়ে। এদিকে ধর্ষন মামলার পর ফারুকুজ্জামান ফরিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।

২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান।ঝিনাইদহের আদালত মামলাটি অধিকতর তদেন্তর জন্য ডিএনএ টেষ্ট করার জন্য ঢাকায় পাঠায়। ডিএনএ টেষ্টে ফরিদ ফেঁসে যায়। এ কারণে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আ’লীগ তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করেন। বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে দোষি সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিামনা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয় এই মামলায় ফরিদের গাড়িচালক চালক হুদা বাকড়ী গ্রামের ইউনুস মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে।

রাষ্ট্র পক্ষে এ্যাড বজলুর রহমান ও আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট নেকবার আলী মামলাটি পরিচালনা করেন।