ঠাকুরগাঁওয়ে ‘স্বর্ণের সন্ধান পাওয়া’সেই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি

Posted on May 26, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : নিরাপত্তা ঝুঁকির চিন্তা করে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার এলাকার আরবিবি ইটভাটার ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। গত কয়েকদিন ধরে সেখানে স্বর্ণের খোঁজে দিনরাত মাটি খুঁড়ছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রকিবুল হাসান এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাণীশংকৈল থানার ৫নং বাচোর ইউনিয়নের অন্তর্গত কাতিহার বাজারের উত্তরপার্শ্বে রাজোর গ্রামে মো. রুহুল আমিনের মালিকানা আরবিবি ইটভাটায় মাটির স্তূপ খুড়ে সোনা পাওয়া যাচ্ছে— এমন খবরে স্থানীয় মানুষজনসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গার অসংখ্য মানুষ বেশ কিছুদিন ধরে খুন্তি, কোদাল ইত্যাদি দিয়ে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে। এ সময় কিছু লোকজন স্বর্ণ পাওয়ার আশায় ঝগড়া-বিবাদ, কলহ ও দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিন জনগণ মাটি খুড়ে স্বর্ণের সন্ধান করতে থাকলে যে কোনো সময় ঘটনাস্থলে মারামারি, খুন, জখমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইটভাটা এলাকা ও এর আশপাশে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কাতিহার সামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তূপ থেকে স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিনরাত ওই মাটির স্তূপ খনন করে বাছাই শুরু করেছে। তবে কেউ স্বর্ণের কোনো অংশ পেয়েছে, এমন খবর নেই।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, রাজা টংকনাথের বাড়ির বিলুপ্ত এক মন্দিরের পাশ থেকে ইট তৈরির জন্য মাটিগুলো নিয়ে আসা হয়েছে এই ভাটায়। তখনকার জমিদার ও ধনিদের অনেক স্বর্ণলংকার ছিল। তারা মন্দিরে সোনারুপা দিতো। মন্দিরটি ধ্বংসের ফলে সেগুলো হয়তো সেখানকার আশপাশের মাটিতে চাপা পরে। আর সেই মাটির সাথে এসব উঠে আসে এখানে।