কুড়িগ্রামে নির্বাচনী প্রচারনায় বাধা

Posted on May 16, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসছে আগামী ( ২১মে ) ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ২য় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সেই আলোকে কুড়িগ্রাম সদরে এবারে চেয়ারম্যান প্রার্থী ০৫ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ০৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ০৩ জন সবাই নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীরা দিনরাত এক হয়ে জয়ের প্রত্যাশায় প্রচার-প্রচারনা করছে। এর মধ্যে যে যার সমর্থন স্ব-স্ব দায়িত্বে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাসহ ভোট প্রার্থনা করছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার ( ১৩মে) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আহমেদ নাজমীন সুলতানা (সাবেক সংসদ সদস্য)-এর নেতৃত্বে ১) আফরোজা বেগম, ২) আর্জিনা বেগম, ৩) ঝুমুর বেগম, ৪) আনোয়ারা বেগম, ৫) আজাদী বেগম, ৬) মুন্নি বেগম সহ আরও অনেক কর্মীবৃন্দদের নিয়ে তিনি সরদার পাড়া গ্রামস্থ এম.এ সাত্তার স্কুল সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোটর সাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন সময় অপর প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের সমর্থকরা মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করেন।

সেই সময় আহমেদ নাজমীন সুলতানা প্রতিবাদ করলে আনারস প্রতিকের সমর্থকরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করেন। এছাড়া আনারস প্রতিকের সমর্থকরা আহমেদ নাজমীন সুলতানার স্বামী ও সন্তানকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রচার-প্রচারণা করায় বাধা দেন।

এ নিয়ে আহমেদ নাজমীন সুলতানা কুড়িগ্রাম জেলার প্রশাসনিক দপ্তর পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সকলের সমন্বয়ে অনুমতিক্রমে সুপরামর্শ অনুযায়ী ১৪মে জেলা রির্টানিং অফিসার বরাবর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রসঙ্গে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

এ বিষয়ে আহমেদ নাজমীন সুলতানা সহ তার সমর্থকরা সংবাদকর্মীদের বলেন, ভোট প্রদান একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। যার যাকে ভালো লাগবে সে তার প্রচার-প্রচারণা করবেন এবং ভোট প্রদান করবেন। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ সমর্থকেরা যদি বাধা সৃষ্টি করে তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। এমতাবস্থায় আগামী ২১মে নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়া নিয়ে আমরা শঙ্কিত। তাই আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনকে অনুরোধ করবো নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ করতে তারা যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এই নিয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার শতাধিক ভোটারদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। পেশীশক্তির জোড়ে আমার মনোনীত ব্যক্তিকে ভোট প্রদান হতে বঞ্চিত করলে ব্যক্তিগত ভাবে ভোট বর্জন করে ২১মে আমরা ভোট প্রদানে অংশ গ্রহণ করবো না।