খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রোটিনের উপর কাজ করছে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান

Posted on May 14, 2024

কর্পোরেট ডেস্ক: ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল-এর (ইউএসএসইসি) তত্ত্বাবধানে ‘রাইট টু প্রোটিন’ দুবাইয়ে তাদের দ্বিতীয় ‘পিচ টু ফর্ক’ ইভেন্টের আয়োজন করেছে। প্রোটিন ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্ভাবনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের উদ্যোক্তাদের (স্টার্টআপ) ব্যবসা প্রসারের অনন্য সুযোগ প্রদান করছে এই পিচ-টু-ফর্ক প্ল্যাটফর্মটি। সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো; গ্ল্যাডফুল, হ্যালো টেমপে, পোলটা ও উইগ্রো।

বিশ্বের দ্রুততম-ক্রমবর্ধমান অঞ্চল হিসেবে দক্ষিণ এশিয়া খ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি প্রোটিনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পুরণেও নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। পিচ-টু-ফর্ক-এর প্রভাব সম্পর্কে ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকা’র (এসএএএসএসএ) রিজনাল ডিরেক্টর কেভিন রেপকি বলেন, “উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে নেটওয়ার্কিং সুবিধার প্রয়োজন তা নিশ্চিত করছে পিচ-টু-ফ্রক, যা উদ্ভাবনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের কল্যাণে বিনিয়োগ ও প্রোটিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে আমরা আগামীর জন্য পুষ্টি-সুরক্ষিত পথ তৈরিতে কাজ করছি।”

ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘টেম্পে’ নতুন আঙ্গিকে উৎপাদন করে ভারতীয় স্টার্টআপ ‘হ্যালো টেমপে’ পিচ-টু-ফর্ক ২০২৪-এ প্রোটিন স্টার্ট-আপ অব দ্য ইয়ারের শিরোপা জিতেছে। তাদের ইউজার-ফ্রেন্ডলি ও সুস্বাদু খাবার/ পণ্য দিয়ে ‘হ্যালো টেমপে’ ভারতে সয়া-ভিত্তিক প্রোটিনের ব্যবহার বাড়াচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পুষ্টিবিদ মালভিকা সিদ্ধার্থ বলেন, “একজন পুষ্টিবিদ হিসেবে প্রতিনিয়তই আমি বিভিন্ন মানুষের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতির প্রভাব লক্ষ্য করি। এই সমস্যার সমাধান করতেই আমরা হ্যালো টেমপে প্রতিষ্ঠা করেছি। আর আমাদের লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সুবিধা প্রদান করায় পিচ-টু-ফর্ককে আন্তরিক ধন্যবাদ।”

পাকিস্তানের পোল্ট্রি সেক্টর থেকে অংশ নেয় ‘পোলটা’। এর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের জিএম খুশবাখত আশরাফ বলেন, ‘‘ট্রেসেবিলিটি, ভার্টিকেল ইন্টারগ্রেশন এবং ডাটা ড্রিভেন সিদ্ধান্ত গ্রহণে পোলটার উদ্ভাবনী সমাধান সবার সামনে উপস্থাপন করার অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল। ইউএসএসইসি-এর লক্ষ্য অনুযায়ী কৃষকদের থেকে সরাসরি ভোক্তদের কাছে পন্য পৌঁছে দিতে এবং প্রোটিনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট। প্রোটিন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য ভবিষ্যত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করতে পেরে আমি আনন্দিত।’’

‘পিচ টু ফর্ক’-এ বাংলাদেশের এগ্রি-টেক সেক্টর থেকে অংশ নেয় ‘উই-গ্রো’। প্রতিষ্ঠানটির ফাউন্ডার মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘উই-গ্রো কৃষকদের আর্থিক সহায়তা, সরঞ্জাম ব্যবহার এবং বাজার তৈরিতে সাহায্য করছে। ‘পিচ টু ফর্ক’ ভবিষ্যতে প্রোটিন ঘাটতি মোকাবিলায় উদ্ভাবনী সামাধান নিয়ে আসছে, যা সত্যি প্রশংসার যোগ্য।’

বাংলাদেশের এগ্রিটেক স্টার্টআপ ‘অ্যাগ্রোশিফট’ ২০২২ সালে পিচ-টু-ফর্কের শিরোপা জেতার পর আরও অনেকেই অংশগ্রহণের উৎসাহ পায়। অ্যাগ্রোশিফট একটি সর্বক্ষণিক কৃষি সাপ্লাই চেইন বা কৃষি-সরবরাহ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। তারা ন্যায্য দামে কৃষকদের পণ্য ব্যবসায়ি বা সরাসরি গ্রাহকদের নিকট বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে এবং তাদের অনন্য ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্যের মান, সহজলভ্যতা ও গ্রাহকসন্তুষ্টি অর্জনে কাজ করে।

পিচ-টু-ফর্কের বক্তাদের মধ্যে রয়েছেন, ইউএসএসইসি-এর ভাইস চেয়ারপার্সন জানা ফ্রিটজ; এগ্রিটেকচার-এর ফাউন্ডার ও সিইও হেনরি গোরডোন-স্মিথ; ইভল্ভড ফুডস-এর ফাউন্ডার ও সিওও রমা রায় চৌধুরী; ইউএস সয় সাস্টেইনেবিলিটি’র রিজনাল হেড ও ইউএসএসইসি-এসএএএসএসএ এর মার্কেটিং হেড ডিভা জিয়ানোলিস; এবং ভেলোরা এডাভাইসর-এর ফাউন্ডার রোবার্তো ফিতো।

ইউএস সয় উদ্ভাবন ও টেকসইতার বিশ্বব্যাপি গ্রাহকদের সমাধান প্রদানে ক্রমাগত উন্নতি করছে। বিশ্বে পুষ্টির ঘাটতি মেটানো প্রতিশ্রুতিতে ‘পিচ-টু-ফর্ক’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইউএস সয়-বিন কৃষকদের সহায়তা করে আসছে এবং তাদের বিভিন্ন সমাধান দিচ্ছে। যেমন- সয় ভ্যালু অয়েল ক্যালকুলেটর, ইউএস সয় ডেটাবেস, ইনপন্ড রেসওয়ে সিস্টেম (আইপিআরএস), দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকুয়াকালচার ফিড ফর্মুলেশন ডেটাবেস (আইএএফডিডি) ও সয়া এক্সিলেন্স সেন্টার।