তিনদিনের সফরে ঢাকায় ডোনাল্ড লু

Posted on May 14, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু তিন দিনের সফরে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তরে আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাসুদুল আলম এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে এটি তার প্রথম সফর। এ নিয়ে পঞ্চমবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ডোনাল্ড লুর ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সফর এই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা জোরদার করবে। লুর সফরে অবাধ, উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ থাকবে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন-পরবর্তী বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র ওই বিষয়গুলোকে সম্পর্কের মূল ইস্যু বানাচ্ছে না।

লুর এবারের সফর নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতেও গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরকালে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, জলবায়ু পরিবর্তনসহ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতার বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের নেতা ও অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন।

জানা গেছে, ডোনাল্ড লু মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আয়োজিত এক নৈশ ভোজে যোগ দেবেন। সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার (১৫ মে) তিনি প্রথমে বৈঠক করবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে। এরপর তিনি পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন।

বাংলাদেশকে সহিংসতামুক্ত, অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে উত্সাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্র গত বছর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল। এর ফলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেওয়া যেকোনো বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন। যুক্তরাষ্ট্র গত সেপ্টেম্বরে ওই নীতি প্রয়োগ শুরুর ঘোষণাও দিয়েছিল।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরুর বার্তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিকের আওতায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। একই সঙ্গে জলবায়ু ও শ্রম ইস্যুকেও গুরুত্ব দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়, ১০ থেকে ১৫ মে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সফর করবেন ডোনাল্ড লু। তার এ সফরে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র যে একটি মুক্ত, অবাধ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চায়, সেটাই গুরুত্ব পাবে ডোনাল্ড লুর সফরে।