নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। মনোনয়ন দাখিল ১২ ফেব্রুয়ারি। যাচাই-বাছাই ১৩ ফেব্রুয়ারি।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সিইসির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে যতক্ষণ সময় লাগে। প্রত্যাহার ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সংসদ ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সিইসি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৩৪৩ জন সংসদ সদস্য ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, যিনি এ নির্বাচনের ‘নির্বাচনী কর্তা’। নির্বাচনী কর্তার কাযালয়ের (প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অফিসে নির্ধারিত দিনে অফিস চলাকালে) মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হলে তাকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে বিধিমালা অনুযায়ী ভোট হবে।
এর আগে সকালে ইসি ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সভা শুরু হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, আনিসুর রহমান, ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সিইসি জানান, একাধিক প্রার্থী হলে ১৯ ফেব্রুয়ারি সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনী কর্তা ভোটের আয়োজন করবেন। নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম লিখে নিজের সই দিয়ে তা জমা দেবেন সংসদ সদস্যরা। ভোটের দিন গ্যালারিসহ সংসদ কক্ষে প্রার্থী, ভোটার, ভোট নেওয়ায় সহায়তাকারী কর্মকর্তা ছাড়া সবার প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনার প্রকাশ্যে ভোট গণনা করবেন। সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্তকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ করা হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে।
২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ। আগামী ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের। পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তিনি। দেশের সংবিধান অনুযায়ী তার আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই। সে কারণে নতুন কাউকে দেখা যাবে তার জায়গায়।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শেষ করতে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, বৈঠকে তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, শূন্য হওয়া ছয়টি আসন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বাধা হবে না।
আরও পড়ুন:
মধুসূদন দত্তের সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ : প্রধানমন্ত্রী
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৯ ফেব্রুয়ারি https://corporatesangbad.com/8361/ |