থাইল্যান্ড সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মাইলফলক হয়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

Posted on May 2, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ডে সফরে দুই দেশে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগ সূচনা করেছে। এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ হাইটেক পার্কে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগে আহ্বান জানানো হয়।

উএনএসক্যাপে সব ধরণের আগ্রাসন-নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনে, কৃষি উৎপাদনে তাদের গবেষণা রয়েছে। এছাড়া পর্যটন ব্যবসায় তাঁরা অনেক এগিয়ে রয়েছেন। আমাদের দেশে কক্সবাজার সুমদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে থাইলান্ডের সাথে আমাদের নতুন সম্পক তৈরি হবে বলে মনে করি। কেননা থাইল্যান্ড ব্যবসা-বাণিজ্যর ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। তাই বলতে পারি আমাদের সাথে এই সফরে থাইল্যান্ডের সাথে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের বামপন্থি রাজনীতিবিদরা নব্বই ডিগ্রি ঘুরে গেছে। অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে? তারা কি একবার এটা ভেবে দেখেছে? আর আমার অপরাধটা কী?

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এখানে আন্দোলন করছে। আমি বলে দিয়েছি, তারা আন্দোলন করছে, করুক। অথচ আমি চাইলে আমেরিকার স্টাইলে পুলিশ দিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দিতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর ২৮ অক্টোবর আমাদের দেশে আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ হয়েছে, ভাংচুর হয়েছে। আমাদের পুলিশ এগুলো ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছি। জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে, এটাই আমাদের বড় শক্তি। তবে কেউ কেউ চেয়েছিল, নির্বাচন যাতে না হয়। নির্বাচন না হলেই তারা খুশি হতো। যারা ভোটের অধিকার হরণ করেছিল, তারাই এখন ভোটের অধিকারের কথা বেশি বলে। অথচ আমরাই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি।’

প্রসঙ্গগত, থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ২৯ এপ্রিল সকালে ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এছাড়াও, তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।