মৌলভীবাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধর

Posted on April 24, 2024

তিমির বনিক, স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আলী হোসেনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) উপজেলার বাছিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মো. আলী হোসেনের ছোট ভাই মো. আমীর বলেন, আমার ভাইকে সাইদুর রহমান, মুহিব এবং সুহেল আক্রমণ করে। এই ঘটনা ঘটিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনফর আলী। মূলত নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এই আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবো। বর্তমানে আমি ভাইকে নিয়ে সিলেট যাচ্ছি।

মো. আলী হোসেন উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

আলী হোসেন আরও বলেন, কিশোর রায় চৌধুরী মনির গুন্ডাবাহিনী পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনফর আলীর ছেলে সাইদুরসহ গুন্ডারা আমার নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করতে আক্রমণ করে। উপজেলার সকল মানুষের কাছে আমি বিচার দিলাম। আপনারা আমার এই বিচার করবেন। আমার আর কিছু বলার নেই।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার পর পরই হাসপাতালে মো. আলী হোসেনকে দেখতে যান কাপ-পিরিচের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি। সেখানে মো. আলী হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মনি বলেন, আমার কোনো গুন্ডাবাহিনী নেই। আর গুন্ডাবাহিনী পালার মতো আমার ক্ষমতাও নেই।

তবে অভিযোগের বিষয়ে কিশোর রায় চৌধুরী মনির সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাপস দাশ নামের একজন কল রিসিভ করে বলেন, তিনি (কিশোর রায় চৌধুরী মনি) গণসংযোগে আছেন। আমি দাদাকে পরে জানাব আপনি কল দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনফর আলীর সঙ্গে এই প্রতিবেদক মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও মুঠোফোনে পাওয়া যাযনি।

এ বিষয়ে জুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমরা বর্তমানে আইনগতভাবে যা যা করার তা করছি।

বিষয়টি সম্পর্কে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং বলেন, আমরা থানায় মামলা করতে বলেছি। মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।