মৌলভীবাজারে রেলপথ ঘেঁষে জমে উঠে অবৈধ পশুর হাট, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

Posted on April 25, 2024

তিমির বনিক, স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের মৌলভীবাজারের শমশেরনগর বাজারে রেলপথ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে পশুর হাট। সপ্তায়ে রবিবার ও বুধবার অবৈধভাবে রেলপথ ঘেঁষে পশুরহাট বসলেও দেখার কেউ নেই। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আপত্তি সত্তে¡ও নিয়মিত বসছে পশুরহাট। ফলে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়।

রেলপথ ঘুরে দেখা যায়, শমশেরনগর রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশে লাল গোদামের সাথেই পশুরহাট পরিচালনা করছেন বাজার ইজারাদার। রেললাইনের সাথে রেলের লাইন দিয়ে বেড়া বসিয়ে অবৈধভাবে সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার পশুরহাট বসছে। স্টেশন এলাকার বাউন্ডারী ও সীমানা প্রাচীর না থাকায় বাজারে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য নিয়ে পশু ছুটাছুটি করছে। পশুরহাট বসানোর কারনে রেললাইনের পাথরও ছিটকে যাচ্ছে। এতে ট্রেন চলাচলেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বাজার ইজারাদার কোন রকম তোয়াক্কা না করেই নিজের ইচ্ছেমতো পশুরহাট পরিচালনা করছেন।

রেললাইনের পাশে এই স্থান দিয়ে পথচারীসহ স্থানীয়দের যাতায়াতের রাস্তাও। পশুরহাট বসার কারনে যাতায়াতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রেলপথের নিরাপত্তার স্বার্থে পশুর হাট না বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকাস্থ বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ কে গত বছরের ২৩ই মে একটি চিঠি প্রেরন করেন শ্রীমঙ্গলের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ)। এবছর ৮৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যে এক বছরের জন্য শমশেরনগর পশুরহাটসহ বাজার ইজারা গ্রহণ করেন কয়েছ মিয়া। এরপরও পশুর হাটের নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় ক্রেতা, বিক্রেতাসহ সবাইকে ভোগান্তি পোহাত হচ্ছে।

বিক্রেতা রফিক মিয়া, মানিক মিয়া বলেন, রেললাইনের পাশে গরু-ছাগল নিয়ে আসাটা আসলেও ঝুঁকিপূর্ণ। যেহেতু বাজার ইজারা হচ্ছে এবং সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাচ্ছে সেহেতু পশুর হাটের নির্দিষ্ট ও নিরাপদ জায়গা বের করা প্রয়োজন। এখানে পশুর হাটের মতো কোন স্থান নেই। একদিকে রেললাইন অপরদিকে ময়লা-আবর্জনাস্থল। শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, ইজারাদারকে বার বার আপত্তি দেয়া সত্বেও জোরপূর্বক রেললাইনের পাশেই পশুরহাট বসানো হয়। এতে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে উঠছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে। চিঠি দিয়েও আপত্তি জানানো হয়েছে।

শমশেরনগর বাজার ইজারাদার কয়েছ মিয়া বলেন, এখানে পশুরহাট বসে সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও জানেন। পশুরহাটের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় এখানে দীর্ঘদিন ধরেই হাট বসছে। এতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি আমার জানা নেই। তবে রেললাইনের পাশে পশুরহাট বসানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সাধারণ মানুষের ক্ষতিসাধন হবে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকার লক্ষে ভূমিকা নেওয়া হবে।