কুয়াকাটায় শালিস বাণিজ্যের অভিযোগ

Posted on April 25, 2024

মোঃ বাদল হোসেন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার কমিশনার ডাঃ মোঃ তৈয়বুর রহমানের বিরুদ্ধে তার নিজ বাড়িতে শালিস বানিজ্যের অভিযোগ উঠছে। একই এলাকার মোঃ বারেক শরিফ নামে এক গরীব জেলেকে শালিসিতে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বলে জানা যায়।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কমিশনার নিজ বাড়িতে শালিস বৈঠকে এই জরিমানা এবং নগদ আদায় করেন। এযেন তার নিজের মনগড়া আদালতের রায়।যেখানে সে নিজই বিচারক। তৈয়বুর রহমান পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কমিশনার।

জানা যায়, পাশের ওয়ার্ডের(১৩) বছরে এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় বারেক শরিফের ছেলে মেহেদী (১৮)। এ ঘটনা মেয়ের বাবা থানায় মৌলিকভাবে অভিযোগ করেন। পরে মহিপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বরগুনা থেকে ছেলে মেয়েকে উদ্ধার করে। মেয়ের বাবা কোন লিখিত অভিযোগ না করায় থানার ওসি ছেলে মেয়েকে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করেন। কিন্তু পরের দিন কমিশনার থানা পুলিশের খরচের কথা বলে ছেলে বাবাকে নিজ বাড়িতে ডাকে। পরে শালিসিদের উপস্থিতেত তিনি এই জরিমানা করে টাকা আদায় করে।

বারেক শরিফ বলেন, থানা পুলিশ আমার ছেলে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিলো কিন্তু কমিশনার শালিসে ডেকে মামলার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে আরো ৩০ হাজার টাকা নগদ আদায় করেন। আমি গরীব মানুষ, মহাজনের কাছ থেকে দারে এনে ভয়ে টাকা দিয়ে দিই। শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- মাহাবুব আকন, শাহআলম খলিফা প্রমূখ।

কমিশনার ডাঃ মোঃ তৈয়বুর রহমান বলেন, থানা থেকে আমাদের শালিস মানিয়ে দিছে। মেয়ের বাবা খরচের টাকা দেওয়া জন্য বলা হয়েছে। আদায়কৃত টাকার ১৫ হাজর থানায় এবং ৩০ হাজার মেয়ের বাবাকে দেওয়া হয়েছে। মেয়ের বাবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

মহিপুর থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, মেয়ের বাবার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমার ছেলে মেয়ে উদ্ধার করি। কিন্তু মেয়ে বাবা লিখিত অভিযোগ না দেওয়া তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আমাদের কোন টাকা পয়সা দেওয়া হয়নি এবং কারও নিকট টাকার জন্য বলিও নি। এটা তারা গ্রামে বসে করছে তা তো আমরা জানি না।