চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, হাসপাতালে বাড়ছে রোগী

Posted on April 24, 2024

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: মঙ্গলবার মধ্য রাতের হালকা বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি মিললেও গত কয়েকদিনের তুলনায় চুয়াডাঙ্গায় আবারও বেড়েছে তাপমাত্রা। এতে জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি।

চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি জায়গায় গতকাল রাত ১টার দিকে ৪০ মিনিট গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হয়, যা ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার রেকর্ড করে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। তবে, আজ সকাল থেকে আবারও উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গার জনপদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। তাপদাহে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে সেখানেও মিলছে না শান্তি। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকালের তুলনায় আজ তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বেড়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।

এদিকে, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে হাসপাতালের ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে বৃদ্ধি পেয়েছে রোগীর সংখ্যা। গত ক’দিনের তুলনায় হঠাৎ করেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১১৪ জন এবং শিশু ওয়ার্ডে ৭৬ জন শিশু ভর্তি আছে এবং গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হলে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা ৫জন এবং শিশু ওয়ার্ডের আসন সংখ্যা ২৫ জন। সেখানে দুইজন শিশু কনসালটেন্ট, দুইজন সিনিয়ান স্টাফ নার্স ও দুইজন আয়া ওই রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

জনবল সংকটের কারনে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
অপরদিকে, বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহিঃবিভাগে পাঁচ শতাধিকের বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। তারা বেশিরভাগই গরমজনিত রোগে আক্রান্ত।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন পরামর্শ দিয়ে বলেন, তীব্র এই গরমে শিশুদের বাইরে বের না হওয়ায় ভালো। শিশুদের ঢিলেঢালা পোশাক পড়াতে হবে। ছয়মাস বয়সের প্রতিটা শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এবং বাইরের খাবার খাওয়ানো যাবেনা।