পতন ঠেকাতে বিএসইতে বৈঠক ইতিবাচক সূচক

Posted on April 23, 2024

রাব্বি : দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন চলছে। ঈদের ছুটি শেষে টানা পাঁচ কার্যদিবসে সূচকের পতন হয়েছে। চলমান দরপতনসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীজনদের সঙ্গে গতকাল সোমবার বিকালে বৈঠক করে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৈঠকের আগে এ দিনের লেনদেন শেষে সূচক ছিল ইতিবাচক।

জানা যায়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান, ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুনসহ পুঁজিবাজারের শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউসগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারে উত্থান-পতন হওয়াটা স্বাভাবিক।

কোম্পানিগুলো গত কয়েক বছরে বেশি কিছু ফান্ডের অনুমোদন পেয়েছে। যেগুলো শিগগিরই বাজারে আসবে। এগুলো বাজারে এলে তারল্য সংকট দূর হবে। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) থেকেও বাজারে তরল্যের জোগান আসবে। এছাড়া আরও কিছু বিদেশি ফান্ড আসবে। যেগুলো আসলে বাজারের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি কেটে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে যেসব ভূমিকা রাখা দরকার তা আমাদের স্টক এক্সচেঞ্জ, মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার যথেষ্ট রয়েছে। শিগগির বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

বাজারের বর্তমান দরপতনে কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর ভূমিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। তবে বিনিয়োগকারীদের আরও সচেতন হতে হবে। গুজবনির্ভর হয়ে ট্রেড করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বাজার মধ্যস্থতাকারীদের আরও সচেতন হতে বলেছি আমরা। তারা আরও সুনজর বাড়াবে বলে আশ্বস্ত করেছে। এতে বাজারের প্রতি গভর্নেন্স বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।

জানা গেছে, অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং বিএসইসির নিবন্ধনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর (স্টক ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিউচুয়্যাল ফান্ড প্রভৃতি) বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান। এছাড়া ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে একটি সভা অনুষ্ঠানের বিষয়ে মতামত দেন তিনি