পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

Posted on April 21, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স থেকে পাওয়া ২৭ বস্তা টাকা গণনা শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। এটি মসজিদটির ইতিহাসে দানবাক্স থেকে পাওয়া সর্বোচ্চ অর্থ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত হোসেন।

তিনি জানান, দানবাক্সে মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। সেসবের অর্থমূল্য এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

চার মাস ১০ দিন পর গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এ সময় উপস্থিতি ছিলেন। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মোমতাজসহ ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, পাগলা মসজিদ ও মাদরাসার ৩৪ জন শিক্ষক ও ১০২ জন ছাত্র টাকা গণনা শুরু করে। টানা ১৮ ঘণ্টা পর টাকা গণনার কার্যক্রম শেষ হয়।

এবার ৪ মাস ১০ দিন পর মসজিদের নয়টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক খোলা হয়। এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লক্ষ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।

এর আগে গত বছরের ১৯ আগস্ট খোলা হয়েছিল এ মসজিদের ৮টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেবার সাড়ে ১৩ ঘণ্টায় ২০০ জনেরও বেশি লোক গণনা শেষে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পান। এছাড়া একটি ডায়মন্ডের নাকফুলসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদটি প্রায় চার একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত। কথিত আছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে বাংলার বারো ভুঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক এক ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।