রাজ মরে গেলেও দেখতে যাব না: পরীমণি

Posted on April 3, 2024

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি বর্তমানে কলকাতায় ‘ফেলুবক্সী’ শিরোনামে একটি সিনেমার শুটিং করছেন। মূলত এই সিনেমার মাধ্যমে টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ হতে যাচ্ছে এ নায়িকার।

বর্তমানে কলকাতায় থাকলেও সেখান থেকেই এবার ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী। এ সময় চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে দাম্পত্যজীবনের কলহ ও বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) প্রকাশ হওয়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, পরীমণির কাছে প্রশ্ন করা হয় ছেলে রাজ্যের জন্য শরিফুল রাজকে আরও একটি সুযোগ দেয়া সম্ভব কিনা? জবাবে এ নায়িকা বলেন, ওই নাম মুখেই আনতে চাই না। ওর প্রতি এত ঘৃণা। কোনোদিন যদি মরেও যায়, তাহলে দেখতে যাব না।

এই অভিনেত্রী ওই সাক্ষাৎকারে পরীমণিকে প্রশ্ন করা হয়- কখনও মনে হয় ছেলের জন্য শরিফুলকে আরও একটা সুযোগ দেবেন? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, নামই মুখে আনতে চাই না। এত ঘৃণা ওর প্রতি। কোনোদিন মরে গেলেও দেখতে যাব না। যে মানুষটা বেঁচে আছে সে অন্য মানুষ, যে আমার কাছে ছিল, সে আরও আগে মরে গিয়েছিল। সেই মৃতদেহটা দেখেছি। আসলে মানুষটা আমার কাছে ‘ডেড’।

প্রেমে বিশ্বাসী কি না কিংবা আর কখনও বিয়ে করবেন কি না, এ বিষয়ে পরীমণি বলেন, নাহ। আর প্রেমে বিশ্বাস নেই। জীবন থেকে উড়ে গিয়েছে। আমার ছেলেই আমার জীবনের একমাত্র প্রেম। ওর হাসি, কান্না সবকিছুতেই ভালোবাসা আছে। ওর আর আমার মাঝে কোনো সংশয় নেই। ও শুধু আমার।

পরীমণির মন খারাপ হয় কখন? উত্তরে তিনি বলেন, ছেলে যখন অসুস্থ হয়, তখন মনে হয়, জোরে একটা যদি চিৎকার দিতে পারতাম, যাতে হাসপাতালটা ফেটে যেত। ছেলে দুবার হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তখন ওইটুকু বাচ্চার হাতে স্যালাইন লাগানো।

পরীমণি বলেন, ওকে নিয়ে একা একা হাঁটছি। তখন মনে হয়েছিল, এই কষ্টটা আমার একার করার কথা ছিল না। তখন ওই মানুষটার ওপর আরও রাগ হয়। মানছি, বাবারা সব পারে না, কিন্তু দায় কি একা মায়ের?

নায়িকা বলেন, আমাকে যে রকম দেখতে লাগে, আমি সে রকমই। বাইরে ও ভিতরে। আমার মধ্যে কোনো ‘ফিল্টার’ নেই। আমার রাগটাও দেখা যায়। মনখারাপ দেখা যায়, কিছু পুষে রাখি না। এটা অনেকের সঙ্গে চলার জন্য হয়তো ভালো নয়। তবে আমার জীবনটা সিনেমা নয়, অত ‘ফিল্টার’ দিতে পারব না। আমাকে পোষালে ভালো, না পোষালে আরও ভালো।

প্রসঙ্গত, নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে সম্পর্কে জড়ান শরিফুল রাজ-পরীমণি। সম্পর্কের সাতদিনের মাথায় ১৭ অক্টোবরে, ২০২১ সালে বিয়ে করেন তারা। এরপর ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি হলুদ অনুষ্ঠান এবং পরদিন ২২ জানুয়ারি জমকালো আয়োজনে ১০১ টাকা দেনমোহরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্ন হয় এই তারকাজুটির।

দাম্পত্যজীবনে এক পুত্রসন্তান আসে তাদের সংসারে। কিন্তু সেই ছেলের প্রথম জন্মবার্ষিকীর কিছুদিন পরই বিচ্ছেদ হয় তাদের। নানা কলহ ও অভিযোগের পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর অভিনেতাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান পরীমণি। সেখানে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে মনের মিল না হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না রাখা ও মানসিক অশান্তিরক থা উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

মুকেশ আম্বানির মেয়ের বাড়ি কিনলেন জেনিফার লোপেজ

মুক্তির ১০ দিন আগেই ‘রাজকুমার’র টিকিট বিক্রি শুরু

ইফতার খাইয়ে আমার নামে বদনাম করা হচ্ছে: নিপুণ