ফ্রা লুকা ডি প্যাসিওলি’র ‘পার্টিকুলারিস ডি কম্পিউটিস এট স্ক্রিপচার্স’ (এ্যাকাউন্টিং বুকস্ এ্যান্ড রেকর্ডস) এর অধ্যাপক জেরেমি ক্রিপসকৃত ইংরেজি অনুবাদ থেকে বঙ্গানুবাদ

Posted on April 13, 2024

এন জি চক্রবর্তী
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) ১৫তম অংশ

দ্বিতীয় ভাগ।
নবম অধ্যায়।
কেনাবেচার নয় রীতি।

মৌসুমি লেনদেন।
কেনার নয়টি রীতি মনে রাখবেন:
১। নগদে;
২। সামান্য সময়ের বাকিতে;
৩। মালের বিনিময়ে;
৪। আংশিক নগদে আর আংশিক বাকিতে;
৫। আংশিক নগদে আর আংশিক মালের বিনিময়ে;
৬। আংশিক মালের বিপরীতে আর আংশিক বিনিময়ে;
৭। আংশিক দীর্ঘ সময়ের বাকিতে আর আংশিক বিনিময়ে;
৮। আংশিক বাকিতে আর আংশিক আগামি তারিখের চেকে;
৯। আংশিক বাকিতে, আংশিক আগামি তারিখের চেকে আর বাকিটা বিনিময়ে।

এগুলোই হচ্ছে কেনার নয় রীতি। অন্যের এজেন্ট হিসাবেই হোক অথবা নিজেই কিনুন, কেনার রীতি যদি এ নয়টার বাইরে হয়, তাহলে ভাল হয় আপনি যদি শর্তগুলো বিস্তারিতভাবে মেমোরেন্ডামে লিখে রাখেন।

মৌসুমি মাল যেমন কোরবানির ঈদের সময় কসাইএর কাছ থেকে জবাই দেয়া পশুর নাড়িভুড়ি বা নুন মাখনো কাঁচা চামড়া, কিম্বা ধরুন ওট বা মদ। মৌসুমের পুরো সময়ে যেসব শর্তে কিনবেন সেসব পরিষ্কার করে লিখে রাখতে হবে। সাধারনত কি হয়, সরবরাহকারি তার ওই মৌসুমের সমস্ত মালই ক্রেতাকে সরবরাহ করে। যেমন ধরুন মৌসুমে এক কসাইএর কাছ থেকে পশুর গোস্ত বাদে বাকিসব কেনার বেলায় যেমন - কলিজা, চামড়া, চর্বি ইত্যাদি প্রতিটির আলাদা আলাদাভাবে দাম নির্দিষ্ট করা থাকবে। আবার নুন মাখনো কাঁচা চামড়ার বেলায় কালো ভেড়া আর সাদা ভেড়ার দাম পৃথক হবে। আবার ওটস্ এ বেলায় হতে পারে চুইসি বা পেরুজিয়ায় ধামার যে মাপ সে অনুযায়ি দরদাম ঠিক হতে পারে। পশুর নাড়িভুড়ি কেনার বিষয়ে আবার আসি। ব্যাখ্যা থাকতে হবে কোথাকার মাল এটা, আমাদের সানসিপলক্রোর না অন্য কোন জায়গার। তথ্যের প্রয়োজনটা কার আপনার না অন্য কারো তা বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে প্রতিটি লেনদেনের সম্পূর্ণ বিবরণ মেমোরেন্ডামে লিখে রাখতে হবে। মোদ্দাকথা ঘটনা যা যা ঘটেছে তার পুরো বিবরণ চাই।

এর কিছুদিন পর হিসাবরক্ষক মেমোরেন্ডাম থেকে জার্নাল তৈরি করবে। তফাতের মধ্যে এই যে, অতশত বিবরণ জার্ণালে থাকার দরকার নেই। প্রথমে সে ভাল করে মেমোরেন্ডামের লেখা বর্ণনাটুকু পড়বে, তারপর বুঝেশুনে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণসহ জার্নাল তৈরি করবে। এ বইতে যে রকমভাবে বলা হলো ঠিকঠিক সে রকমভাবে তিনটি হিসাবের খাতা রাখলে মেমোরেন্ডাম বইয়ে এন্ট্রি না দিয়ে জার্নাল তৈরির সুযোগই থাকবেনা।

মেমোরেন্ডাম কী করে লিখতে হয় তা এ বইয়ে বিশদভাবে দেখানো হলো। সেটা আপনার নিজের জন্য বা অন্যের প্রয়োজনে তাতে কিছু যায় আসে না। একথাতো নিশ্চয়ই সব সময় স্বীকার করবেন যে আপনি যদি দশ রকমভাবে কিনতে পারেন তাহলে আপনার কাছে যারা বিক্রী করছে তারাও ঠিক একই দশ রকমভাবেই বিক্রী করতে পারে। আবার আপনি যখন বিক্রেতা তখনও একই ঘটনা ঘটবে। (পরবর্তী শনিবারের সংখ্যা দেখুন)।

এ কারণে বিক্রীর আর রকমফেরের মধ্যে গেলাম না। কেনার সময় যে পদ্ধতি খাতায় লিখতে হয় উল্টা পদ্ধতিতে বেচার বেলায়ও তা হবে।