রায়গঞ্জে ফুলজোড় নদীর বালি টেন্ডার ছাড়াই বিক্রির হিড়িক

Posted on March 25, 2024

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বালি উত্তোলনকারী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যোগসাজশ। তবারীপাড়া পয়েন্টে ফুলজোড় নদীর ড্রেজার দিয়ে উত্তোলনকৃত বালি টেন্ডার ছাড়াই ১ মাস ধরে বিক্রির হিড়িক।'

জানাযায়, রায়গঞ্জে খরস্রোতা ফুলজোড় নদীটি কালের বিবর্তনে বালি ও পলি জমে ভরাট হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকার নদীটি খননের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারদের বালি উত্তোলনের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করেন। এই নদীটি ২০২৩ সালের মধ্যে খনন কাজ করার সময়সীমা বেধে দেয়া হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে নদী খনন কাজ করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে অসমাপ্ত খনন কাজ শেষ করার জন্য রায়গঞ্জ থানার পার্শ্বে, তবারীপাড়ায় ও সিমলা সহ প্রায় ৫টি পয়েন্ট ড্রেজার দিয়ে নদীটি পুনঃ খনন শুরু।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উত্তোলনকৃত বালির ৬০% ২৮ মার্চ টেন্ডারের আহবান করা হয়। কিন্তু টেন্ডারের এক মাস পূর্ব থেকেই তবারীপাড়া পয়েন্টে বালি উত্তোলনকারীগণ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যোগসাজশ করে সরকারি বালি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।'

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘ ১ মাস ধরে তবারীপাড়া পয়েন্টের বালি অবৈধ ভাবে বিক্রি হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এতে কোন বাধা নিষেধ দেয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিরবতাই উত্তোলনকারীদের সাথে যোগসাজশের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে।

এ বিষয়ে বালি উত্তোলনকারী রুহুল আমিন (রবিন) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটি আবেদন দিয়েছি। অনুমতি না পেলেও আবেদন দিয়েই বালু বিক্রি করছি।

টেন্ডার ছাড়াই বালি বিক্রির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টেন্ডার ছাড়া বালি বিক্রির কোন সুযোগ নেই। কেও বিক্রি করে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।