মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছি : প্রধানমন্ত্রী

Posted on March 25, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতেও ভয় পেতেন। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। যে জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই স্লোগানকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সে সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের এবং সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ও নির্যাতন করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সরকার গঠনের পর আবারও হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। এখন ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, জয় বাংলা স্লোগান জাতীয় স্লোগান হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু রাষ্ট্রটি দেননি, বাংলাদেশ কীভাবে চলবে সেই পথরেখাও তিনি দেখিয়েছেন। আবার বঙ্গবন্ধুর কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে বসেনি ভারত। ১৯৭৫ পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতে ভয় পেতেন, বিজয়ী জাতি তাদের পূর্বের কথা বলতে পারত না। যে উদ্দেশ্যে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য ও হারানো গৌবর ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বেড়েছে, দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, তাই ইফতার পার্টি না করে তা বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলে, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে আমার এগিয়ে যাব। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, এটাই আমাদের নীতি। তারপরও দেশে কিছু মানুষ আছে যারা আগুন সন্ত্রাস করে, অগ্নিসন্ত্রাস না করে, তাদের সুমতি হোক সেটাই চাই আমরা।

এর আগে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২৪ সালে ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এবার ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে তিনজন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্ষেত্রে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন পুরস্কার পান।

এছাড়া সংস্কৃতিতে একজন, ক্রীড়ায় একজন এবং সমাজসেবায় তিনজন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ এ পদকে ভূষিত করা হয়। তারা হলেন- ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর)। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্যাটাগরিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ‌। সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন। ‘সমাজসেবা/জনসেবা’ ক্ষেত্রে অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী এবং এস এম আব্রাহাম লিংকন। এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।