পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার শর্তাবলী সহজীকরণের আহ্বান

Posted on January 22, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার শর্তাবলী সহজীকরণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মোঃ সামীর সাত্তার।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) ডিসিসিআই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিসিসিআই সভাপতি সমসাময়িক অর্থনীতি বিষয়ক ১০টি বিষয়বস্তুর উপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৩ সালে ডিসিসিআই’র কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

সামীর সাত্তার বলেন, আমাদেরকে রেমিট্যান্স আহরণ বাড়াতে প্রণোদনা বৃদ্ধি ও রপ্তানি আয় বাড়ানোর উপর আরও বেশি হারে জোর-আরোপ করতে হবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সংকটের কারণে দেশে জ্বালানির মূল্য বাড়ছে। তবে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি কেবলমাত্র একমুখী হওয়া উচিত হবে না বরং আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য হ্রাস পেলে কালক্ষেপণ না করে সে অনুপাতে স্থানীয় বাজারেও যেন জ্বালানির মূল্য সমন্বয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় সরকারের প্রতি সেই আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতির বাইরে নয়, ২০২৩ সালে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিদ্যমান কর্মসংস্থানের সুযোগ ধরে রাখাটাও একধরনের সফলতা। প্রতিবছর আমাদের দেশে প্রায় ২০ লাখ তরুণ শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরির বাজরে প্রবেশ করে, তবে বিপুল এ জনগোষ্ঠীর জন্য উপযোগী কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা বেশ চ্যালেঞ্জের বিষয়। এদের অনেকেই হয়ত চাকরি পাবে, তবে অবশিষ্টদের মধ্যে একটি বড় অংশ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে। বৈশ্বিক অস্থিতিশীল বাজারে সিএমএসএমই খাতের তরুণ উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ঋণের সজলভ্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিদ্যমান জটিল পরিস্থতিতে তাদেরকে সহজ শর্তে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

‘সরকার সম্প্রতি শুধুমাত্র শিল্পখাতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, বাসা-বাড়ি এবং কৃষিখাতের জন্য তা প্রযোজ্য নয়’ এ বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের ব্যবসায়ী সমাজ শিল্পখাতে পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে উচ্চমূল্যে হলেও নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ পেতে চায়, যেন স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আমাদের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়। এটা সত্য যে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উপর কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, কারণ এটি তাদের পণ্য উৎপাদন ব্যয় বাড়াবে।

এ বছর ঢাকা চেম্বার সিএমএসএমই, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বেসরকারি ও বৈদেশিক বিনিয়াগ, আর্থিক খাত, কর ব্যবস্থাপনা, এলডিসি গ্রাজুয়েশন, অর্থনৈতিক কূটনীতি, অবকাঠামো ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রভৃতি বিষয় সমূহের উপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ করবে এবং বিষয়গুলোর উপর ডিসিসিআই সভাপতি বিস্তারিত সুপারিশালা উপস্থাপন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মোঃ জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ।