মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবি: এখনও নিখোঁজ ৩ জন

Posted on March 25, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানাসহ তিনজন। তাদের সন্ধান এখনও মিলেনি।

বাকি দুইজন হলেন- পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার শিশু পুত্র সন্তান রাইসুল ও বেলন দে নামের একজন।

এদিকে ঘটনার তিনদিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা উদ্ধার না হওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার পিতা মো. আবদুল আলিম। তিনি জানান, এখন কোন সন্ধান মিলেনি আমার ছেলে সোহেল রানা ও নাতনী রাইসুলের। তবে বিআইডব্লিটিএ উপ-পরিচালক ও উদ্ধার ইউনিট প্রত্যয়ের প্রধান ওবায়দুল করিম জানান, মেঘনা নদীর তলদেশে আর কোন মরদেহ নাই। তিনি আরও জানান সাধারণত ২৪ ঘন্টা পর ডুবে যাওয়া মরদেহ ভেসে উঠে। ফলে আমরা নদীর চারদিকে আমাদের টিমের সদস্যরা স্প্রীট বোর্ড ট্রলার মাধ্যমে ভেসে যাওয়া মরদেহগুলো খুজঁছে।

এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে ট্রলারটিকে ধাক্কা দেওয়া বাল্কহেডের সুকানি ও ইঞ্জিন মিস্ত্রিকে আসামি করে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল মো. সোহেল রানার বাবা মো. আব্দুল আলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার এজহারে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

নৌ-পুলিশের কিশোরগঞ্জ জোনের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলাটি ঘটনাস্থলের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছে। তবে নৌ পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তার ও বাল্কহেডটি সনাক্তকরণে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মেঘনা নদীতে ২০-২১ জন যাত্রী বহন করা একটি ট্রলারকে অপর একটি অজ্ঞাত বাল্কহেড ধাক্কা দিলে সাথে সাথে ডুবে যায়। এ ট্রলারটি ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চরসোনারামপুর থেকে মেঘনা নদী দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব নৌকাঘাটে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় রোববার পর্যন্ত ট্রলারের ৬ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।