পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, আটক ৫

Posted on March 16, 2024

তিমির বনিক, স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ ৫ নারীকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার (১৪ই মার্চ) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। আরও ৪ আসামী পলাতক রয়েছে। হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ৯ জনের বিরুদ্ধে নামোল্লেখ করে পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।

উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের তারা মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৬০), এলাইছ মিয়ার স্ত্রী আজিজুন নেছা (৬০), মনা মিয়ার স্ত্রী অপি বেগম (২২), প্রধান আসামী আজাদ মিয়ার স্ত্রী রত্না বেগম (৩৪), লাল মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম (২১) কে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পলাতক রয়েছেন মামলার প্রধান আসামী আজাদ মিয়া (৪২), তার ভাই আহাদ মিয়া (৩৮, লাল মিয়ার স্ত্রী শিরিন বেগম (৪৫), জয়নাল মিয়ার স্ত্রী রিপা বেগম (৩৫)।

জানা যায়, গত ৪ঠা মার্চ উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দা তারা মিয়ার ছেলে চিহ্নিত বখাটে আজাদ মিয়া (৪২) প্রতিবেশী এক গৃহবধুর সাথে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটায়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার পরদিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় গত ১২ই মার্চ আজাদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।

বুধবার বিকেলে আসামী আজাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে কুলাউড়া থানার এসআই সালাউদ্দিন মিফতার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এসময় আসামী আজাদকে আটকের চেষ্টাকালে আসামীর পরিবারের লোকজন পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে পুলিশের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালালে আসামী আজাদ মিয়া পালিয়ে যায়। হামলায় এসআই সালাউদ্দিন মিফতা (৩০), আনোয়ার মিয়া (৩৩), এ এস আই তপন দেব (৩৫) ও কনস্টেবল আফরোজ মিয়া (২৭), মামলার বাদী, তাঁর মাতা ও ছোট ভাই আহত হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

মামলার বাদী এসআই সালাউদ্দিন মিফতা বলেন, ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী আজাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করার সময়ে আসামীর পরিবারের লোকজন পুলিশের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে পুলিশের চার সদস্য আহত হন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।