বিনিয়োগের আগে জেনে নিন ফু-ওয়াং ফুডসের সম্পর্কে

Posted on March 14, 2024

রফিকুল ইসলাম (রাব্বি) : বিনিয়োগের আগে সংশ্রিষ্ট কোম্পানির সার্বিক অবস্থা জেনে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে হবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ও আনুপাতিক হার (পিই রেশিও)। একটি কোম্পানির পিই রেশিও যত কম হবে বিনিয়োগের জন্য কোম্পানিটি তত উত্তম। সাধারণত ৪০ পর্যন্ত পিই রেশিও স্বাভাবিক ধরা হয়। এর উপরে গেলে অবশ্যই সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। পিই রেশিও থেকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিট সম্পদমূল্য (এনএভি), এটা যত বেশি বিনিয়োগের জন্য ততই উত্তম।

জানা যায়, সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে মাইনাস ০ টাকা ১৯ পয়সা, ডিসেম্বর ২০২৩ এ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে মাইনাস ০ টাকা ২১ পয়সা এবং কোম্পানির প্রথম ৬ মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে মাইনাস ০ টাকা ৪১ পয়সা। ২০২৩ সমাপ্ত বছরে ইপিএস ছিল মাইনাস ০ টাকা ৫৭ পয়সা, ২০২২ সালে মাইনাস ২ টাকা ২৬ পয়সা, ২০২১ সালে ০ টাকা ৫ পয়সা, ২০২০ সালে ০ টাকা ৫০ পয়সা ও ২০১৯ সালে ইপিএস ছিল ০ টাকা ৮০ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০২৩ সালে ২ টাকা ৪৩ পয়সা, ২০২২ সালে ৩ টাকা ১৮ পয়সা, ২০২১ সালে ১১ টাকা ৮৫ পয়সা, ২০২০ সালে ১২ টাকা ১ পয়সা ও ২০১৯ সালে ছিল ১১ টাকা ৭১ পয়সা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিগত ৩ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২০ সালে ১.৬৫ শতাংশ নগদ, ২০১৯ সালে ২ শতাংশ নগদ ও ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটি ২০২৩, ২০২২ ও ২০২১ সালে কোন লভ্যাংশ দেয়নি।

ঢাকা স্টক থেকে জানা যায়, ৩০-৬-২০২৩ সমাপ্ত বছরের সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক কোম্পানির রির্জাভে রয়েছে মাইনাস ৮৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ডিএসিতে কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদী লোন ছিল ১৮ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও দীর্ঘ মেয়াদী লোন ছিল ৫৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ডিএসিতে কোম্পানির ক্রেডিট-রেটিং এর কোন তথ্য দেওয়া নেই। অর্থাৎ ক্রেডিট-রেটিং এর ঘর সম্পূর্ণ ফাঁকা রয়েছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোম্পানিটি ১৫০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২০০০ এ তালিকভূক্ত হয়। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪ টাকা।

ডিএসই‘র তথ্য অনুযায়ী, ২৯-২-২০২৪ ইং তারিখে উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে রয়েছে ৭.৮৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৭.৫১ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে রয়েছে ০.৩১ শতাংশ শেয়ার এবং বাকি ৮৪.৩৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

গত এক বছরে কোম্পানিটির দর উঠানামা হয়েছে ২৩.৫০ টাকা থেকে ৪৬.৯০ টাকা। আজকের দর উঠানামা হয়েছে ২৮.৫০ টাকা থেকে ২৯.৫০ টাকার মধ্যে। গতকাল সমাপনী দর ছিল ২৮.৬০ টাকা ,আজকের ওপেনিং দর ছিল ২৯.০০ টাকা এবং আজকের সমাপনী দর ছিল ২৮.৬০ টাকা। ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড বর্তমানে এ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এই কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছে অধ্যাপক মো: আবুল কাসেম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল হাসান খান।