তাড়াশে ভুট্টার জমি থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার

Posted on March 12, 2024

সাব্বির মির্জা, (তাড়াশ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভুট্টার জমি থেকে এক নবজাতক (মেয়ে) জীবিত পাওয়া গেছে। ওই উদ্ধারকৃত নবজাতককে চিকিৎসার জন্য তাড়াশ ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসার পর নব জাতককে উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তার নির্দেশে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের চড়হামকুড়িয়া গ্রামের পূর্ব পাশের ফসলী মাঠের ভুট্টা ক্ষেতে। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের চড়হামকুড়িয়া গ্রামের মো. শামীম রেজার স্ত্রী মোছা. লাবনী খাতুন ছেলেকে নিয়ে বোরো ধানের জমি দেখতে যান। এ সময় ওই বোরো ধানের জমির পাশে ভুট্টার জমির ভিতর তাঁর ছেলে বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পায়। কান্নার শব্দ শুনে তার মাকে বললে ভুট্টার জমির ভিতর গিয়ে নব জাতককে দেখতে পায় লাবনী খাতুন। পরে লাবনী খাতুন বাড়িতে ফিরে এসে তাঁর স্বামীকে বিষয়টি জানালে তাঁর স্বামী শামীম রেজা সহ এলাকার লোকজন ভুট্টার ক্ষেত থেকে ওই মেয়ে নব জাতককে উদ্ধার করে তাড়াশ ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পরে বিষয়টি তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে ওই নব জাতককে উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে মো. শামীম রেজার স্ত্রী মোছা. লাবনী খাতুন বলেন, আমি সকালে ছেলেকে নিয়ে বোরো ধানের জমি দেখতে গেলে ভুট্টার ক্ষেত থেকে ওই মেয়ে বাচ্চাটি দেখেতে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় বাচ্চাকে তাড়াশ হাসপাতালে নিয়ে যাই। বর্তমানে ওই বাচ্চাটি সমাজ সেবা কার্যালয় আমার জিম্মায় রেখেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বাচ্চাটি হাসপাতালে আনার পর তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। বাচ্চার শারীরিক আবস্থা ভাল আছে, সুস্থ্য আছে।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা একেএম মনিরুজ্জামান বলেন, নবজাতক পাওয়ার খবরটি জানার পর নবজাতককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে বাচ্চাটি সুস্থ্য আছে। ইউএনও মহোদয়ের কাছে বাচ্চাটি দত্তক নেওয়ার জন্য অনেক গুলো আবেদন করেছে। বিকেল ৩ টার পর মিটিং করে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, থানা প্রশাসনের মাধ্যমে শিশুটিকে রাজশাহী সোনা মনি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ প্রমঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, বাচ্চাটি দত্তক নেওয়ার জন্য অনেকেই আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক বাচ্চাটিকে রাজশাহী সোনা মনি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।