ইস্টার্ন ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা

Posted on March 11, 2024

রফিকুল ইসলাম (রাব্বি) : গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ এবং সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ২৪ পয়সা। সে হিসেবে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৫৭ পয়সায়। এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৯ এপ্রিল বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহবান করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২ এপ্রিল।

জানা যায়, মার্চ ২০২৩ এ প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০ পয়সা, জুন ২০২৩ এ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা এবং কোম্পানির প্রথম ৬ মাস ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা। ২০২২ সালে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৭৭ পয়সা, ২০২১ সালে ৫ টাকা ৩ পয়সা, ২০২০ সালে ৫ টাকা ১৫ পয়সা, ২০১৯ সালে ৪ টাকা ৯২ পয়সা ও ২০১৮ সালে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ২২ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০২২ সালে ৩৩ টাকা ৩৩ পয়সা, ২০২১ সালে ৩৩ টাকা ১৭ পয়সা, ২০২০ সালে ৩৬ টাকা ২৮ পয়সা, ২০১৯ সালে ৩১ টাকা ৯৮ পয়সা ও ২০১৮ সালে ছিল ৩১ টাকা ৬৭ পয়সা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২২ সালে ১২.৫০ শতাংশ নগদ ও ১২.৫০ শতাংশ স্টক, ২০২১ সালে ১২.৫০ শতাংশ নগদ ও ১২.৫০ শতাংশ স্টক, ২০২০ সালে ১৭.৫০ শতাংশ নগদ ও ১৭.৫০ শতাংশ স্টক, ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।

৩১-১২-২০২২ সমাপ্ত বছরের সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক কোম্পানির রির্জাভে রয়েছে ২৩৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদী লোন ছিল ৭৮৫৯ কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ডিএসিতে কোম্পানির কোন ক্রেডিট-রেটিং তথ্য দেওয়া নেই। অর্থাৎ কোম্পানি আদৌ কোন ক্রেডিট-রেটিং রির্পোট হয়েছে বলে দৃশ্যমান হয়নি।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোম্পানিটি ২৫০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকভূক্ত হয়। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১২০৭ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১২০ কোটি লাখ ৭২ লাখ ৩৪ হাজার ৭১৫ টাকা।

ডিএসই‘র তথ্য অনুযায়ী, ২৯-২-২০২৪ ইং তারিখে উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে রয়েছে ৩০.৬৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেও হাতে রয়েছে ৪৭.০৫ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদেও হাতে রয়েছে ০.০৮শতাংশ শেয়ার এবং বাকি ২২.২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

গত এক বছরে কোম্পানিটির দর উঠানামা হয়েছে ২৬.৯০ টাকা থেকে ৩৩.৭০ টাকা। আজকের দর উঠানামা হয়েছে ৩১.৫০ টাকা থেকে ৩২.২০ টাকার মধ্যে। গতকাল সমাপনী দর ছিল ৩১.৫০ টাকা এবং আজকের ওপেনিং দর ছিল ৩১.৮০ টাকা। ১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি বর্তমানে এ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।