সাতক্ষীরা সামেক পরিচালকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

Posted on March 10, 2024

শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (সামেক) এর পরিচালক ডা. শীতল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঔষধ ক্রয়ের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১০ মার্চ) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে জেলা ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে এই মানববন্ধন পালিত হয়।

জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি মো. কওছার আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, বাবলু হাসান, নারী নেত্রী নদী প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (সামেক) এর পরিচালক ডা. শীতল চৌধুরী সপ্তাহে মাত্র দুই দিন অফিস করেন। ঠিকমত অফিসে আসেন না। অথচ সরকারি আইন অনুযায়ী কোন সরকারি কর্মকর্তা বিনা ছুটিতে কর্মস্থল

ছাড়তে পারবেন না। সে আইন তিনি মানেন না। পরিচালক ডা.শীতল চৌধুরী। অতিরিক্ত পরিচালক ডা. অজয় কুমার এবং ল্যাব ইনচার্জ সুব্রত কুমার দাস সিন্ডিকেট করে হাসপাতাল পরিচালনা

পরিষদের সাথে যোগসাজস করে লুটপাট চালাচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালের স্টাফদের বেতন ছাড়াতে গেলেও টাকা দিতে হয়। ফলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে নাজুক হয়ে পড়েছে। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, দুর্গন্ধে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন।

মানববন্ধনে আরও বলেন প্যাথলজিস্ট সুব্রতর সহযোগিতায় হাসপাতালে রয়েছে বড় একটি সিন্ডিকেট। এ ছাড়া হাসপাতালের রোগীদের খাদ্যে বড়ধরনের অনিয়ম করেছে ঠিকাদারসহ তার সহযোগীরা। খাদ্যের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। গরুর মাংসের পরিবর্তে পোল্ট্রি, রুই মাছের পরিবর্তে তেলাপিয়া তাও আবার ছোট একটুকরো সরবরাহ করা হয়।

মেডিকেলের ল্যাব, এক্সরে বিভাগ এবং কেবিন ভাড়া থেকে প্রতি সপ্তাহে মোটা অংকের টাকা পরিচালকের হাতে তুলে দিতে হয়। তা না দিলে বিভাগ পরিবর্তন করে দেওয়ার হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করেন পরিচালক ডা. শীতল চৌধুরী।

এ ছাড়া হাসপাতালের ঔষধ কেনার জন্য বরাদ্দ হওয়া ৭ কোটি টাকার কোন ঔষধ না কিনে পুরো টাকায় তিনি আত্মসাত করেছেন বলে জানান বক্তারা।

এদিকে, গত ৭ মার্চ মেডিকেল হাসপাতালের অডিট কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ঢাকা থেকে আগত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রায় ৪দিন ধরে অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। ঔষধ বিক্রির ৭ কোটি টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ধামাচাপা দিতে শীতল চৌধুরী ওই কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে সুন্দরবন ভ্রমনসহ জেলার নামীদামী হোটেলে ভুড়িভোজের মত আপ্যায়ন অব্যাহত রেখেছেন। বক্তারা অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।