বিনিয়োগের আগে জেনে নিন আইডিএলসি ফাইন্যান্স সম্পর্কে

Posted on January 21, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সার্বিক অবস্থা জেনে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এজন্য অবশ্যই জানতে হবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস), শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি), আনুপাতিক হার (পিও রেশিও), কারণ এগুলো একটি কোম্পানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূন্য। একটি কোম্পানির পিও রেশিও যত কম হবে বিনিয়োগের জন্য কোম্পানিটি তত উত্তম। সাধারণত ৪০ পর্যন্ত পিও রেশিও স্বাভাবিক ধরা হয়। এর উপরে গেলে অবস্যই সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। পিও রেশিও থেকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিট সম্পদমূল্য (এনভি)। এটি যত বেশি বিনিয়োগের জন্য ততই উত্তম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, আইপিডিসি ফাইন্যান্স কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হলো ২০১৭ সালে ৩৩ টাকা ৪১ পয়সা, ২০১৮ সালে ৩৬ টাকা ১৭ পয়সা, ২০১৯ সালে ৩৭ টাকা ১৮ পয়সা, ২০২০ সালে ৪০ টাকা ৪১ পয়সা এবং ২০২১ সালে ৪২ টাকা ৪১ পয়সা। পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরের ভিতরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০১৭ সালে ৬ টাকা ১৩ পয়সা, ২০১৮ সালে ৫ টাকা ৭৬ পয়সা, ২০১৯ সালে ৪ টাকা ৫১ পয়সা, ২০২০ সালে ৬ টাকা ৭৪ পয়সা এবং ২০২১সালে ৫ টাকা ৩৪ পয়সা।

জানা যায়, ২০২২ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬০পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’-ডিসেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২১ পয়সা, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’-মার’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ১৫ পয়সা। লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের, ২০১৭ সালে ৩০ শতাংশ নগত, ২০১৮ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ , ২০১৯ সালে ৩৫ শতাংশ নগত , ২০২০ সালে ১৫ শতাংস নগত ও ৫ শতাংস বোনাস এবং ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংস বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করেছে।

পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, কোম্পানিটি ১ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন নিয়ে ১৯৯২ সালে দেশের প্রধান শেয়ার বাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির বর্তমানে পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ৪১৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।কোম্পানিটির শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। গত এক মাসে ডিএসসিতে দর ওঠানামা হয়েছে ৪৬.৫০-৪৬.৫০। একবছরে দর ওঠানামা হয়েছে ৪৫.০০-৬২.৪০ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভ ও সারপ্লাস এ আছে ১ হাজার ১৩৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা; হিসাব বছর ’(জানুয়ারি-ডিসেম্বর)। কোম্পানির হালনাগাত প্রান্তিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে (পিই রেশিও) ১১.০৭ এবং বার্ষিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে (পিই রেশিও) ৮.৭১।

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮৫ টি। তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫৬.৬৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠনিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৭.৮২ শতাংশ শেয়ার, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১.১৬ এবং অবশিষ্ট ১৪.৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত ’আর্থিক প্রতিষ্ঠান’ খাতের এ কোম্পানিটি বর্তমানে ” এ ” ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে।