বিজিবিকে বিশ্বমানের স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী

Posted on March 4, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদবক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিজিবিকে বিশ্বমানের আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। বিজিবি হবে স্মার্ট বাহিনী। তাদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বিজিবির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, কখনও শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। চেইন অব কমান্ড মেনে কাজ করবেন।

সোমবার (৪ মার্চ) সকালে পিলখানার বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাবেক বিডিআর বিদ্রোহে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আর যেন না ঘটে। দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)। দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা জাগ্রত তারা। তাই বিশ্বমানের স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই তাদেরকে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদকরোধ ও দেশের অভ্যন্তরে অগ্নিসন্ত্রাসসহ বিভিন্ন ভূমিকা রেখেছে তারা। দেশের অভ্যন্তরে যখনই কোনো সমস্যা হয়, সেই অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানান ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তখনও বিজিবির সদস্যরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জানমাল রক্ষায় ভূমিকে রেখেছে। বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে এগিয়ে যাবে বিজিবি এটাই আমার প্রত্যাশা।

তিনি আরও বলেন, কারো কাছে যেন হাত পাততে না হয় এজন্য দেশের প্রতিটি মানুষকে উৎপাদনমুখী হতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

২০০৯ সালে পিলখানা ট্র্যাজেডির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে এলেই মনটা ভারী হয়ে যায়। ২০০৯ সালে কেবল সরকার গঠন করি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটে এক অঘটন। এই বিদ্রোহে ৫৭ জন অফিসারসহ ৭৪ জন জীবন হারায়।” তিনি ওই ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে স্বজনদের প্রতি সহমর্মিতা জানান। বলেন, “স্বজন হারানোর বেদনা কত কঠিন, সেটা বোধহয় আমার থেকে কেউ বেশি জানে না।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবিক কারণে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আলোচনা চলছে। আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাইনি। আলোচনার মাধ্যমেই আমরা এই সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় বিজিবি সদর দপ্তরের বীরউত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিজিবি সদস্যদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি।

বিজিবি দিবসের এ অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭২জন বিজিবি সদস্যকে পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন সরকারপ্রধান।