ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

Posted on March 3, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে এই সম্মেলন।

রোববার (৩ মার্চ) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা, বিভাগীয় কমিশনাররা, জেলা প্রশাসকরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত হন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসক সম্মেলন যা সচরাচর ‘ডিসি সম্মেলন’ নামেই বহুল পরিচিত। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে নতুন সরকারের লক্ষ্য ও করণীয় সম্পর্কে ধারণা দিতেই এ সম্মেলন চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত। সবগুলো কার্যঅধিবেশন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হবে। এছাড়াও স্পিকার ও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সাথে জেলা প্রশাসকরা সৌজন্য সাক্ষাৎ, সদয় নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন। এবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে।

এবারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রায় ৩৫০টি প্রস্তাব এসেছে। গত বছর এই প্রস্তাবের সংখ্যা ছিল ২৪৫টি।

এবারের সম্মেলনে প্রস্তাবগুলোর মধ্যে জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো রয়েছে। বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে। এছাড়াও ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্ন্যান্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবারকল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সম্মেলনে উদ্বোধন অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনাসহ তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও মতবিনিময় করে থাকেন ডিসিরা। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ডিসিদের কার্য-অধিবেশন রয়েছে। স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং একটি সমাপনী অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে।