বিনিয়োগের আগে জেনে নিন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক সম্পর্কে

Posted on March 2, 2024

রফিকুল ইসলাম (রাব্বি) : বিনিয়োগের আগে সংশ্রিষ্ট কোম্পানির সার্বিক অবস্থা জেনে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে হবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ও আনুপাতিক হার (পিও রেশিও)। একটি কোম্পানির পিও রেশিও যত কম হবে বিনিয়োগের জন্য কোম্পানিটি তত উত্তম। সাধারণত ৪০ পর্যন্ত পিও রেশিও স্বাভাবিক ধরা হয়। এর উপরে গেলে অবশ্যই সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। পিও রেশিও থেকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিট সম্পদমূল্য (এনএভি), এটা যত বেশি বিনিয়োগের জন্য ততই উত্তম।

জানা যায়, মার্চ ২০২৩ এ প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮০০ পয়সা, জুন ২০২৩ এ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৪০ পয়সা এবং কোম্পানির প্রথম ৬ মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ২১০ পয়সা। ২০২২ সমাপ্ত বছরে ইপিএস ছিল ৮টাকা ১৪ পয়সা, ২০২১ সালে ছিল ৮ টাকা ৭৯ পয়সা, ২০২০ সালে ছিল ১০ টাকা ,২০১৯ সালে ছিল ৮ টাকা ৬৮ পয়সা ও ২০১৮ সালে ছিল ২১ টাকা ০১ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) ২০২২ সালে ছিল ৫৯ টাকা ৮৫ পয়সা, ২০২১ সালে ৫৮ টাকা ৪৪ পয়সা, ২০২০ সালে ৫৮ টাকা ৬৫ পয়সা, ২০১৯ সালে ৫৪ টাকা ৮৯ পয়সা ও ২০১৮ সালে ছিল ১১৫ টাকা ৪৩ পয়সা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিগত ৪ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২২ সালে ১৭.৫০ শতাংশ নগদ ও ৭.৫ শতাংশ স্টক, ২০২১ সালে ১৭.৫০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক, ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক ও ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটি ২০২৩ ও ২০১৮ সালে কোন লভ্যাংশ দেয়নি।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, ৩১-১২-২০২২ সমাপ্ত বছরের সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক কোম্পানির রির্জাভে রয়েছে ৩৪১৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদী লোন ছিল ২৮২৮ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ডিএসিতে কোম্পানির কোন ক্রেডিট-রেটিং তথ্য দেওয়া নেই। অর্থাৎ কোম্পানির আদৌ কোন ক্রেডিট-রেটিং রিপোর্ট হয়েছে বলে দৃশ্যমান হয়নি।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোম্পানিটি ১৫০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকভূক্ত হয়। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ১০ হাজার। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৭৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা।

ডিএসই‘র তথ্য অনুযায়ী, ৩১-১-২০২৪ ইং তারিখে উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে রয়েছে ৮৬.৯৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫.৭৮ শতাংশ শেয়ার এবং বাকি ৭.২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

গত এক বছরে কোম্পানিটির দর উঠানামা হয়েছে ৫৩.২০ টাকা থেকে ৬৩.৯৩ টাকা। আজকের দর উঠানামা হয়েছে ৫৬.৭০ টঠরা থেকে ৫৭.৮০ টাকার মধ্যে। গতকাল সমাপনী দর ছিল ৫৬.৯০ টাকা, আজকের ওপেনিং দর ছিল ৫৭.০০ টাকা এবং আজকে সমপনী দর ৫৭.০০ টাকা, এক মাসের দর ওঠানামা করেছিলো ৫৬.৯০ টাকা থেকে ৫৯.৯০ টাকা ও একবছরের দর উঠানামা করেছিলো ৫৩.২০ টাকা থেকে ৬৩.৯০ টাকার মধ্যে। ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড বর্তমানে এ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।