মধ্যরাত থেকে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

Posted on February 29, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ ছয় উপকূলীয় এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত (১ মার্চ) থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত এ ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স।

সরকারি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন ৪৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে। জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে।

সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলায় টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মা-মেঘনা পাড়ের জেলে পাড়াগুলোতে জেলেদের অংশগ্রহণে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। আইন অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে মাছ আহরণ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলা মৎস্য অফিসার মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদেরকে মাথাপিছু ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই মাসের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নৌপুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে নদীতে কোনো অনিয়ম দেখলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, আইন অমান্য করে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাটকা রক্ষায় টাস্কফোর্স নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে।

দুই মাস মাছ ধরা বন্ধের কারণে জেলার প্রায় ৪৩ হাজার জেলে বেকার হয়ে পড়বেন। এ সময়ে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকতে নিবন্ধিত জেলেদের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত খাদ্যসহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেবে সরকার। তবে শুধু চাল দিয়ে সংসার চালানো কষ্টের বলে দাবি জেলেদের। তাই খাদ্যসহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও চান তারা।