তাড়াশে পারিশ্রমিকের টাকা পাননি শ্রমিকরা

Posted on February 25, 2024


সাব্বির মির্জা (তাড়াশ)প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে “অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান” কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪০ দিনের কাজে নিয়োজিত ৯৭৪ জন শ্রমিক তা‌দের অর্ধেক প্রারিশ্রমিক এখনও পাননি। কিন্তু কাজ শেষ হয়েছে প্রায় দেড় মাস পূর্বে। ফলে দীর্ঘ সময় অ‌তিবা‌হিত হওয়ার পরও পুরো পারিশ্রমিক না পাওয়া শ্রমিকরা তা‌দের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

অথচ নিয়ম রয়েছে “অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান” কর্মসূচির কাজ শুরুর পর বিশ দিন পর তাঁদের সঞ্চয় নম্বরে দুই কিস্তিতে সমুদয় পারিশ্রমিক পাবেন এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা। কিন্তু বাস্তবে এর ব্যত্যয় ঘটেছে।

তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি) প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। আর গত বছরের ২৬ নভেম্বরের শুরু হওয়া কর্মসংস্থান কর্মসুচি কাজে ৪০০ টাকা দিন হাজিরায় ২৪ টি প্রকল্পে কাজ করছেন ৯৭৪ জন শ্রমিক। যার অধিকাংশই নারী শ্রমিক।

বারুহাঁস ইউনিয়ন এলাকায় কাজ করা শ্রমিক মো. মেরাজ হোসেন জানান, নিয়ম মেনে কাজ করার পর পরই পারিশ্রমিক পেলে শ্রমিকদের উপকার হয়। কেননা এ সকল শ্রমিক দিন আনে দিন খায় অবস্থায় থাকেন। কিন্তু তা হয়না। এ ছাড়া অনেকের বাড়িতেই নানা রোগের রোগি আছেন তাদের ঔষধও কিনতে হয়। অথচ টাকার খুব প্রয়োজন হলেও কাজ করেও দেড় মাসেও সমুদয় পারিশ্রমিকের টাকা পাইনি।

তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে গ্রমীণ সড়কে কাজ করা শ্রমিক খাদিজা খাতুন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ২০ দিনের মধ্যেই পারিশ্রমিকের প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষের দিকে ৯৭৪ জন শ্রমিক প্রথম কিস্তির ৭৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা পেলেও এরপর কেটে গেছে প্রায় দেড় মাস কিন্তু এখনও দ্বিতীয় কিস্তির পারিশ্রমিকের টাকা আজও পাইনি। যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ দিকে পারিশ্রমিকের টাকা না পেয়ে খেটে খাওয়া শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে শ্রমিক খাদিজা খাতুন জানান।

এ মন্তব্য শুধু খাদিজার নয় কর্মসংস্থান কর্মসুচিতে কাজ করা শ্রমিক আকবর আলী, সোরহাব হোসেন, আকলিমা খাতুনসহ উপজেলার আট ইউনিয়নে ২৪ টি প্রকল্পে কাজ করা ৯৭৪ জন শ্রমিকের। যাদের কেউ এখনও দ্বিতীয় কিস্তিরই পারিশ্রমিকের টাকা পাননি। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.ফরহাদ লতিফ বলেন, কর্মসংস্থান কর্মসুচি বিল হয় ঢাকা থেকে।

এখানে আমাদের কাজ বিল পাঠানো। আর সমস্ত প্রকল্পের বিল জমা দেওয়া হয়েছে অনেক পূর্বেই। পাশাপাশি প্রথম কিস্তির পারিশ্রমিক তারা পেয়ে গেছেন। আশা করছি আগামী সপ্তাহে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা তাঁদের পারিশ্রমিকের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়ে যাবেন। আর শ্রমিকরা বলছেন, পারিশ্রমিকের টাকা দেড় মাস আগেই পাওয়ার কথা ছিল। অথচ আজ কাল করে দেড় মাস তো গেল।