১ জুলাই থেকে ভারতে বাতিল হচ্ছে ব্রিটিশ ফৌজদারি আইন

Posted on February 25, 2024

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিনটি নতুন আইন। এরফলে ভারতীয় আইন ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি মুছে যাবে ব্রিটিশ আমলে তৈরি ফৌজদারি আইনগুলো।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য জানিয়েছে।

১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ দিয়ে। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হয়েছে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ দিয়ে এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’-এর বদলে আসতে চলেছে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন।’

নতুন আইনে ১৮ বছরের কমবয়সি নারীকে ধর্ষণের সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা আজীবন কারাদণ্ড। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ২০ বছর থেকে আজীবন জেলের সাজার কথা বলা হয়েছে। এমনকি, মহিলাদের হার বা মোবাইল ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার বিচারের জন্য রয়েছে নয়া আইন। যৌন হিংসার মামলার ক্ষেত্রে নির্যাতিত মহিলার বয়ান তারই বাড়িতে এক জন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নথিবদ্ধ করার কথাও জানাচ্ছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। বিয়ে বা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অপরাধের জন্য ১০ বছরের সাজার কথা বলা হয়েছে এতে। এ ছাড়াও সন্ত্রাসবাদ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অপরাধের ক্ষেত্রেও আরও কঠোর সাজার কথার উল্লেখ থাকছে নতুন আইনে।

গত ১১ আগস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেছিলেন। বিল পেশের সময় শাহ দাবি করেছিলেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং সাক্ষ্য অধিনিয়ম শীর্ষক ওই তিনটি বিল আইন থেকে ‘ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ জমানার প্রভাব এবং দাসত্বের মানসিকতা’ দূর করবে।

কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলিও তাড়াহুড়ো করে বিল পাশের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু বিল পাশ করতে বেগ পেতে হয়নি নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। সেই বিলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সইও করে দেন।

জানুয়ারি মাসেই দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, এক বছরের মধ্যেই এই নতুন তিনটি আইন কার্যকর হবে। এবার তার দিনক্ষণও জানানো হল। নতুন তিন আইনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। কিছু নিয়মে পরিবর্তনও আনা হয়েছে। মহিলা এবং শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধগুলির ক্ষেত্রে আরও কঠোর সাজার বিধান থাকছে নতুন আইনে।