ট্রেনে রাজবাড়ী আসার অনুভূতি অনেক ভালো : রেলমন্ত্রী

Posted on February 23, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ট্রেনে রাজবাড়ী আসার অনুভূতি অনেক ভালো। এই ট্রেন সার্ভিস আগে ছিল না। ট্রেনে ঢাকা থেকে রাজবাড়ীতে এসেছি খুব অল্প সময়ে। যে সার্ভিসটা পেয়েছি সেটি উল্লেখ করার মতো। এই সার্ভিসের আরও উন্নতি হবে। যারা যাত্রী রয়েছে তারা সুলভমূল্যে ও সস্তায় যাতে এই সার্ভিসটা পায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে রেলমন্ত্রী রাজবাড়ী স্টেশনে নামেন। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, আমার এলাকার যারা ট্রেনে চড়ে তারা রেলের লোকজনের ওপর দাপট নেয় বলে শুনেছি। তারা ট্রনে উঠে বলে মন্ত্রীর এলাকার লোক। এসব বন্ধ করতে হবে। আমার এলাকার লোক বলেই ট্রেনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে এমন নয়। আমি এলাকার লোকদের বলবো ট্রেনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে ভদ্র ও ভালো ব্যবহার করবেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন রেলের আরও সম্প্রসারণ হবে। রেল সস্তায় সার্ভিস দিয়ে থাকে। মাল পরিবহনেও রেল সস্তায় সার্ভিস দিয়ে থাকে। প্রত্যেকটি জেলায় রেলের কানেক্টিভিটি তৈরি করা হবে। প্রত্যেকটি জেলায় রেল পৌঁছে দেওয়া হবে। আর কিছুদিন পরেই ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন চালু হবে। এছাড়াও আরও কিছু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রেলের সম্প্রসারণের জন্য।

রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচুর কোচ আমদানি হচ্ছে। ইঞ্জিনও আমদানি হয়েছে, আরও কিছু আমদানি হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে সুখের খবর এটা রাজবাড়ী রেলের শহর, রাজবাড়ীতে একটা রেলের সবচেয়ে বড় কারখানা নির্মাণ করা হবে। যেটা ১০৫ একর জমি নিয়ে, সৈয়দপুর থেকেও বড়। এই কারখানায় রিপিয়ারিং,মেইনটেনেন্সসহ বগি তৈরির কারখানা যাতে হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা আমাদের রাজবাড়ীবাসীর জন্য একটি বড় ব্যাপার। এছাড়াও মন্ত্রী রাজবাড়ীতে নতুন একটি আধুনিক রেলস্টেশন করার ঘোষণা দেন।

রেলমন্ত্রী দুই দিনের সরকারি সফরে রাজবাড়ীতে এসেছেন। সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা শুরু করেন। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে তিনি রাজবাড়ী রেলস্টেশনে পৌঁছান। এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকারসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রেলমন্ত্রী ও তার স্ত্রী সাঈদা হকিমকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।