বিনিয়োগের আগে জেনে নিন এক্সিম ব্যাংক সম্পর্কে

Posted on February 20, 2024

রফিকুল ইসলাম (রাব্বি) : বিনিয়োগের আগে সংশ্রিষ্ট কোম্পানির সার্বিক অবস্থা জেনে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে হবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ও আনুপাতিক হার (পিও রেশিও)। একটি কোম্পানির পিও রেশিও যত কম হবে বিনিয়োগের জন্য কোম্পানিটি তত উত্তম। সাধারণত ৪০ পর্যন্ত পিও রেশিও স্বাভাবিক ধরা হয়। এর উপরে গেলে অবস্যই সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। পিও রেশিও থেকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিট সম্পদমূল্য (এনএভি), এটা যত বেশি বিনিযোগের জন্য ততই উত্তম।

পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০২২ সালে হয়েছে ২ টাকা ৫৭ পয়সা যা ২০২১ সালে ছিল ১ টাকা ৪৯ পয়সা, ২০২০ সালে ১ টাকা ৯৯ পয়সা, ২০১৯ সালে ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা ও ২০১৮ সালে ১ টাকা ৬৫ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএআই) তথ্য অনুযায়ী কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০২২ সালে ২২ টাকা ০২ পয়সা, ২০২১ সালে ২১ টাকা ৭২ পয়সা, ২০২০ সালে ২১ টাকা ৬৬ পয়সা, ২০১৯ সালে ২০ টাকা ৬৭ পয়সা ও ২০১৮ সালে ছিল ১৯ টাকা ৯৮ পয়সা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ৭.৫০ শতাংশ নগদ, ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ নদগ লভ্যাংশ দিয়েছে।

পর্যবেক্ষনে দেখা যায় কোম্পানিটি ২০০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে তালিকভূক্ত হয়। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ১৪৪৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ হাজার ৫৭ হাজার ৩৪৪ টাকা। তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে রয়েছে ৩২.৪৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৯.০৩ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে রয়েছে ০.৭৭ শতাংশ শেয়ার এবং বাকি ৩৭.৭৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

গত এক বছরে কোম্পানিটির দর উঠানামা হয়েছে ৯.৪০ টাকা থেকে ১১.৩০ টাকা। গতকাল দর উঠানামা হয়েছে ১০.৩০ থেকে ১০.৫০ টাকা মধ্যে। ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ বর্তমানে এ ক্যাটাগরিতে অবস্থা করেছে। এই কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছে মো.নজরুল ইসলাম মজুমদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ ফিরোজ হোসেন।