এফআরসি’র ইডি সাঈদের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা

Posted on February 19, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্বাহী পরিচালক সাঈদ আহমেদ এফসিএ এর বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের সদস্য শেখ জাহিদুল ইসলাম এফসিএ।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্র্যাট মোঃ রশিদুল ইসলাম এর আদালতে দন্ডবিধির ৫০০ ও ৫০১ ধারা মোতাবেক (সিআর ১৩২/২৪) এ মামলাটি দায়ের করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া এফসিএস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া কর্পোরেট সংবাদকে বলেন, বিজ্ঞ আদালত সুষ্ঠ তদন্তের জন্য সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তদন্তের রিপোর্ট আগামী ২৮ মার্চ আদালতে দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

শেখ জাহিদুল ইসলাম এফসিএ কর্পোরেট সংবাদকে বলেন, এফআরসি’র নির্বাহী পরিচালক সাঈদ আহমেদ অন্যায়ভাবে তাকে ফার্ম থেকে অপসারণ করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বাংলাদেশ ব্যাংক এর তালিকাভুক্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়। এছাড়াও সাঈদ আহমেদ উক্ত অপসারণের চিঠি ও অফিস কপি এফআরসি এবং বিভিন্ন অফিসে সার্কুলেট করেন।

তিনি বলেন, এফআরসি আইনে অনাপত্তি বিধান না থাকা সত্বেও সাঈদ আহমেদ কর্তৃক অনাপত্তি প্রদানের মাধ্যমে অত্র অভিযোগকারীর পূর্বতন প্রতিষ্ঠান হতে অপসারনে আসামীর অবৈধ প্রভাব বিস্তার এবং অভিযোগকারীর মানহানিকর কর্মকান্ডে আসামীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকার প্রমাণ বহন করে।

শেখ জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, সাঈদ আহমেদ এরুপ বেআইনী কর্মকান্ডে অভিযোগকারীর পরিবারে, সমাজে, আইসিএবিতে এবং কর্মক্ষেত্রে মানহানিসহ বিপুল পরিমান ব্যবসায়িক ও আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সাঈদের এমন কর্মকান্ডে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। অধিকন্ত অভিযোগকারীর কর্মক্ষেত্র আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

এ বিষয়ে এফআরসি’র নির্বাহী পরিচালক সাঈদ আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কর্পোরেট সংবাদকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে মানহানিকর মামলা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। আর যদি হয়েও থাকে এ বিষয়টি পরে দেখা যাবে বলে তিনি জানান।

জানা যায়, এই কারনে ৩৩২টি কোম্পানির অডিট, ভ্যাট, ট্যাক্স সংক্রান্ত কাজ করতে পারছেন না শেখ জাহিদুল ইসলাম এফসিএ । ফলে গত অর্থবছর এবং এবছর প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে সাঈদ আহমেদকে আইনী নোটিশ ও পাঠান। ফলে কোন সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া না পেয়ে তিনি এই মামলা করতে বাধ্য হন।